ঢাকা, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ এএসপি’র লাশের পাশে চিরকুট উদ্ধার

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৫২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ১১০ বার পড়া হয়েছে

রিপন চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে র‌্যাব কার্যালয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) মৃত্যু হয়েছে। তিনি নিজেই মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চান্দগাঁওয়ে র‌্যাবের ক্যাম্প কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।তবে পুলিশ মৃত্যুর কারণ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে। নিহত পলাশ সাহা (৩৫) র‌্যাবের চট্টগ্রাম অঞ্চলে (র‌্যাব-৭) সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, পলাশ সাহা বিসিএস ৩৭ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। তবে তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকার সূত্রাপুরে বসবাস করেন। র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম বলেন, র‌্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্প থেকে একজন এএসপিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক উনাকে মৃত ঘোষণা করেন। উনার মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন আছে।আত্মহত্যা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো তদন্তের আগে বলা সম্ভব নয়। আমরা বিষয়টি দেখছি।

সূত্র মতে, ঘটনার পর পলাশ সাহার লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এতে তিনি ব্যক্তিজীবনের হতাশার পাশাপাশি মা ও স্ত্রীকে সুখী করতে না পারার আক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। নিজের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টায় র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ. আর. এম. মোজাফফর হোসেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, এএসপি পলাশ সাহা ইস্যু করা অস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ে নিজের কক্ষে প্রবেশ করে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ওই কক্ষ থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। তখন সহকর্মীরা গিয়ে কক্ষের ভেতর মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পিস্তলটি নিচে পড়ে ছিল। টেবিলে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলেও ক্ষুদেবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ এএসপি’র লাশের পাশে চিরকুট উদ্ধার

আপডেট সময়ঃ ০৯:৫২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

রিপন চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে র‌্যাব কার্যালয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) মৃত্যু হয়েছে। তিনি নিজেই মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চান্দগাঁওয়ে র‌্যাবের ক্যাম্প কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।তবে পুলিশ মৃত্যুর কারণ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে। নিহত পলাশ সাহা (৩৫) র‌্যাবের চট্টগ্রাম অঞ্চলে (র‌্যাব-৭) সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, পলাশ সাহা বিসিএস ৩৭ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। তবে তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকার সূত্রাপুরে বসবাস করেন। র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম বলেন, র‌্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্প থেকে একজন এএসপিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক উনাকে মৃত ঘোষণা করেন। উনার মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন আছে।আত্মহত্যা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো তদন্তের আগে বলা সম্ভব নয়। আমরা বিষয়টি দেখছি।

সূত্র মতে, ঘটনার পর পলাশ সাহার লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এতে তিনি ব্যক্তিজীবনের হতাশার পাশাপাশি মা ও স্ত্রীকে সুখী করতে না পারার আক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। নিজের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টায় র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ. আর. এম. মোজাফফর হোসেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, এএসপি পলাশ সাহা ইস্যু করা অস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ে নিজের কক্ষে প্রবেশ করে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ওই কক্ষ থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। তখন সহকর্মীরা গিয়ে কক্ষের ভেতর মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পিস্তলটি নিচে পড়ে ছিল। টেবিলে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলেও ক্ষুদেবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।