ঢাকা, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ডাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে, বড় অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি: শিক্ষক নেটওয়ার্ক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৫৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পর্যবেক্ষক দলের সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বড় কোনো অসঙ্গতি শিক্ষক নেটওয়ার্ক দেখতে পায়নি বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পর্যবেক্ষক দল এ মন্তব্য করেন।

অনেক ভোটার ভোট দিয়ে বুথের কলম নিয়ে চলে গেছে জানিয়ে অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, পরে বলপয়েন্ট দিয়ে ভোট দিয়েছে ভোটাররা। এসব ব্যালট মেশিন যদি রিড না করতে পারে তাহলে দায় কার?

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে নির্বাচটি কেমন হয়েছে এখন পর্যন্ত তা বলার সময় হয়নি। নানান গুজব-অস্থিরতা আছে। প্রশাসনের কিছু বিষয়ে অব্যস্থাপনাও দেখা গেছে। তথ্যের গ্যাপ এবং ভুল বোঝাবুঝিও দেখা গেছে। সবাই যথেষ্ট পোলিং এজেন্ট পায়নি। অনেকেই পাস পেয়েছেন দেরিতে। কেউ কেউ আবেদন করেও পায়নি। এমন কিছু কিছু ঘাটতি ছিল।

তিনি আরও বলেন, দুটি হলের কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সমভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। কিছু কিছু যায়গায় অস্বচ্ছতা দেখা গেছে। দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ধীরগতিতে হয়েছে। এছাড়া রোকেয়া হলে সহকারী প্রক্টরের সাথে ছাত্রদলের বাকবিতন্ডায় ভোটগ্রহণ কমে গেছে। অনেকেই আসেনি।

অধ্যাপক সামিনা আরও বলেন, অনেক কেন্দ্রেই প্রার্থীকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কারণ গেট কিপারদের কাছে যথার্থ তথ্য পৌঁছানো হয়নি। এ ধরনের কিছু অব্যবস্থাপনা না থাকলে আমরা আরও ভরসা নিয়ে এটিকে ভালো নির্বাচন বলতে পারতাম।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ডাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে, বড় অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি: শিক্ষক নেটওয়ার্ক

আপডেট সময়ঃ ১১:৫৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পর্যবেক্ষক দলের সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বড় কোনো অসঙ্গতি শিক্ষক নেটওয়ার্ক দেখতে পায়নি বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পর্যবেক্ষক দল এ মন্তব্য করেন।

অনেক ভোটার ভোট দিয়ে বুথের কলম নিয়ে চলে গেছে জানিয়ে অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, পরে বলপয়েন্ট দিয়ে ভোট দিয়েছে ভোটাররা। এসব ব্যালট মেশিন যদি রিড না করতে পারে তাহলে দায় কার?

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে নির্বাচটি কেমন হয়েছে এখন পর্যন্ত তা বলার সময় হয়নি। নানান গুজব-অস্থিরতা আছে। প্রশাসনের কিছু বিষয়ে অব্যস্থাপনাও দেখা গেছে। তথ্যের গ্যাপ এবং ভুল বোঝাবুঝিও দেখা গেছে। সবাই যথেষ্ট পোলিং এজেন্ট পায়নি। অনেকেই পাস পেয়েছেন দেরিতে। কেউ কেউ আবেদন করেও পায়নি। এমন কিছু কিছু ঘাটতি ছিল।

তিনি আরও বলেন, দুটি হলের কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সমভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। কিছু কিছু যায়গায় অস্বচ্ছতা দেখা গেছে। দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ধীরগতিতে হয়েছে। এছাড়া রোকেয়া হলে সহকারী প্রক্টরের সাথে ছাত্রদলের বাকবিতন্ডায় ভোটগ্রহণ কমে গেছে। অনেকেই আসেনি।

অধ্যাপক সামিনা আরও বলেন, অনেক কেন্দ্রেই প্রার্থীকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কারণ গেট কিপারদের কাছে যথার্থ তথ্য পৌঁছানো হয়নি। এ ধরনের কিছু অব্যবস্থাপনা না থাকলে আমরা আরও ভরসা নিয়ে এটিকে ভালো নির্বাচন বলতে পারতাম।