ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

দেশের আইন-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি জেল পলাতক বন্দি ও লুণ্ঠিত অস্ত্র

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের আইন-শৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপুলসংখ্যক জেল পলাতক দুর্র্ধষ বন্দি এবং লুণ্ঠিত অস্ত্র। গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানকালে ১৭টি কারাগারে বন্দি বিদ্রোহ ঘটে । তারমধ্যে কয়েকটি কারাগারে ঘটে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ওই সময় দুটি কারাগারের সব বন্দিসহ পাঁচটি কারাগার থেকে ২ হাজার ২৪৭ জন বন্দি পালিয়ে যায়। পাশাপাশি কারগারের বিভিন্ন ধরনের ৯৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯ হাজার গোলাবারুদ লুট হয়। কিন্তু জেল পলাতক বন্দি ও লুন্ঠিত অস্ত্রের একটি বড় অংশই বিগত এক বছরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার করতে পারেনি। পলাতক বন্দিদের মধ্যে দাগী ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি রয়েছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা থেকেই যাবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে এখনো ৭১৬ জন বন্দিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ওসব বন্দিদের মধ্যে ৯৯ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং ৮৪ জন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত রয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকালে নরসিংদী ও শেরপুর কারাগার থেকে বন্দি পালানোর পাশাপাশি রাইফেল, শটগান ও মেশিন গানসহ ৯৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৯ হাজার গোলাবারুদ লুট হয়। তবে পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৬৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়। আর এখনো অপরাধীদের হাতে রয়ে গেছে ৬ হাজারের বেশি গোলাবারুদ। যা দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিপর্যয় ঘটনো সম্ভব।
সূত্র জানায়, ২০৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিদ্রোহীদের হাতে সারা দেশের ৮টি কারাগার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার মধ্যে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার, নরসিংদী, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা ও শেরপুর জেলা কারাগার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতবছরের ১৯ জুলাই কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। তখন পালিয়ে যায় কারাগারে থাকা ৯ জন দাগী আসামিসহ ৮২৬ জন বন্দি। তখন কারাগারের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের পাশাপাশি ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজারের বেশি গোলাবারুদ লুট করা হয়। আর ৫ আগস্ট বিগত সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন জেলার অন্তত ১৭টি কারাগারে বন্দিরা একযোগে হামলা, বিক্ষোভ ও বিদ্রোহের ঘটনা ঘটায়। আগুনে শেরপুর ও নরসিংদী কারাগারের সব নথি পুড়িয়ে দেয়া হয়। বিদ্রোহকালে নরসিংদী পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ জন বন্দির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬৪৬ জন আত্মসমর্পণ ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এখনো ১৪২ জন পলাতক রয়েছে। তখন কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮ হাজার ১৫টি গুলি ও গোলাবারুদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে এক হাজার ৬৮০টি উদ্ধার করা হয়েছে। আর সাতক্ষীরা জেলা কারাগার পালিয়ে যাওয়া ৫৯৬ বন্দির মধ্যে ৫০৯ জন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন এবং ৪৪ জন বন্দিকে গ্রেফতার হয়েছে। এখনো ৪৩ জন বন্দি পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ও ১২ জন বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাছাড়া গত বছর ৬ আগস্টে বন্দিরা কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের ভেতরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ৭ ও ৮ আগস্ট বন্দিরা দেয়াল টপকে পালাতে গেলে কারারক্ষীরা গুলি চালালে ৬ জন বন্দি নিহত হয়। তারপরও সেখান থেকে ৮৮ জন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিসহ ২০২ জন বন্দি পালিয়ে যায়। তার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো ১৪১ জন বন্দিপলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৫ জন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে। আর ৭ আগস্ট কুষ্টিয়া কারাগার থেকে ১০৫ জন বন্দি পালিয়ে যায়। তারপর বিভিন্ন সময় আত্মসর্ম্পণ ও ৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এখনো ১৬ জন বন্দি পলাতক রয়েছে। তার মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত তিনজন আসামি রয়েছে। আর দুর্বৃত্তরা ৫ আগস্ট বিকালে শেরপুর জেলা কারাগারে প্রধান ফটক ভেঙে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। ওই সুযোগে জেলে থাকা ৫১৮ বন্দি পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ১৪৪ জন বন্দিকে গ্রেফতার করে। এখনো পুলিশ বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। ওই সময় কারাগার থেকে যেসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়েছিলো তার মধ্যে কিছু গুলি ছাড়া সব উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, কারাগার থেকে লুণ্ঠিত ২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ হাজারে বেশি গোলাবারুদের এখনো কোনে া হদিস নেই। কারাগার থেকে পলাতক বন্দি ও লুণ্ঠিত গোলাবারুদ দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। কারাগারগুলোতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সীমানাপ্রাচীর উঁচু করার পাশাপাশি বন্দিদের ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি কারাগারে আলাদা এনটিএমসি সিস্টেম চালু হচ্ছে। তাতে তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন ও মিডিয়া) মো. জান্নাত উল ফরহাদ জানান, পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে এক হাজার ৫৩১ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে আনা হয়েছে। বাকি পলাতক আসামি ও লুণ্ঠিত অস্ত্রের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার এখন পুলিশের কাজ। তবে বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। আগে প্রতিটি কারাগারে নিজস্বভাবে বন্দিদের তথ্য রাখা হতো। ওই সময় কারাগারগুলোতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের কারণে দুটি কারাগারের নথিপত্র পুড়ে গেছে। তবে বিভিন্ন মামলা থেকে পালিয়ে যাওয়ার বন্দিদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনো সেন্ট্রাল সার্ভার না থাকায় কারাগারের নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় অনেক বন্দির পরিচয় নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বন্দিদের ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্টসহ কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল সার্ভারে ছবিসহ তথ্য রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের আইন-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি জেল পলাতক বন্দি ও লুণ্ঠিত অস্ত্র

আপডেট সময়ঃ ০৯:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের আইন-শৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপুলসংখ্যক জেল পলাতক দুর্র্ধষ বন্দি এবং লুণ্ঠিত অস্ত্র। গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানকালে ১৭টি কারাগারে বন্দি বিদ্রোহ ঘটে । তারমধ্যে কয়েকটি কারাগারে ঘটে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ওই সময় দুটি কারাগারের সব বন্দিসহ পাঁচটি কারাগার থেকে ২ হাজার ২৪৭ জন বন্দি পালিয়ে যায়। পাশাপাশি কারগারের বিভিন্ন ধরনের ৯৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯ হাজার গোলাবারুদ লুট হয়। কিন্তু জেল পলাতক বন্দি ও লুন্ঠিত অস্ত্রের একটি বড় অংশই বিগত এক বছরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার করতে পারেনি। পলাতক বন্দিদের মধ্যে দাগী ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি রয়েছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা থেকেই যাবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে এখনো ৭১৬ জন বন্দিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ওসব বন্দিদের মধ্যে ৯৯ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং ৮৪ জন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত রয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকালে নরসিংদী ও শেরপুর কারাগার থেকে বন্দি পালানোর পাশাপাশি রাইফেল, শটগান ও মেশিন গানসহ ৯৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৯ হাজার গোলাবারুদ লুট হয়। তবে পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৬৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়। আর এখনো অপরাধীদের হাতে রয়ে গেছে ৬ হাজারের বেশি গোলাবারুদ। যা দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিপর্যয় ঘটনো সম্ভব।
সূত্র জানায়, ২০৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিদ্রোহীদের হাতে সারা দেশের ৮টি কারাগার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার মধ্যে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার, নরসিংদী, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা ও শেরপুর জেলা কারাগার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতবছরের ১৯ জুলাই কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। তখন পালিয়ে যায় কারাগারে থাকা ৯ জন দাগী আসামিসহ ৮২৬ জন বন্দি। তখন কারাগারের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের পাশাপাশি ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজারের বেশি গোলাবারুদ লুট করা হয়। আর ৫ আগস্ট বিগত সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন জেলার অন্তত ১৭টি কারাগারে বন্দিরা একযোগে হামলা, বিক্ষোভ ও বিদ্রোহের ঘটনা ঘটায়। আগুনে শেরপুর ও নরসিংদী কারাগারের সব নথি পুড়িয়ে দেয়া হয়। বিদ্রোহকালে নরসিংদী পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ জন বন্দির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬৪৬ জন আত্মসমর্পণ ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এখনো ১৪২ জন পলাতক রয়েছে। তখন কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮ হাজার ১৫টি গুলি ও গোলাবারুদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে এক হাজার ৬৮০টি উদ্ধার করা হয়েছে। আর সাতক্ষীরা জেলা কারাগার পালিয়ে যাওয়া ৫৯৬ বন্দির মধ্যে ৫০৯ জন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন এবং ৪৪ জন বন্দিকে গ্রেফতার হয়েছে। এখনো ৪৩ জন বন্দি পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ও ১২ জন বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাছাড়া গত বছর ৬ আগস্টে বন্দিরা কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের ভেতরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ৭ ও ৮ আগস্ট বন্দিরা দেয়াল টপকে পালাতে গেলে কারারক্ষীরা গুলি চালালে ৬ জন বন্দি নিহত হয়। তারপরও সেখান থেকে ৮৮ জন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিসহ ২০২ জন বন্দি পালিয়ে যায়। তার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো ১৪১ জন বন্দিপলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৫ জন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে। আর ৭ আগস্ট কুষ্টিয়া কারাগার থেকে ১০৫ জন বন্দি পালিয়ে যায়। তারপর বিভিন্ন সময় আত্মসর্ম্পণ ও ৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এখনো ১৬ জন বন্দি পলাতক রয়েছে। তার মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত তিনজন আসামি রয়েছে। আর দুর্বৃত্তরা ৫ আগস্ট বিকালে শেরপুর জেলা কারাগারে প্রধান ফটক ভেঙে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। ওই সুযোগে জেলে থাকা ৫১৮ বন্দি পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ১৪৪ জন বন্দিকে গ্রেফতার করে। এখনো পুলিশ বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। ওই সময় কারাগার থেকে যেসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়েছিলো তার মধ্যে কিছু গুলি ছাড়া সব উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, কারাগার থেকে লুণ্ঠিত ২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ হাজারে বেশি গোলাবারুদের এখনো কোনে া হদিস নেই। কারাগার থেকে পলাতক বন্দি ও লুণ্ঠিত গোলাবারুদ দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। কারাগারগুলোতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সীমানাপ্রাচীর উঁচু করার পাশাপাশি বন্দিদের ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি কারাগারে আলাদা এনটিএমসি সিস্টেম চালু হচ্ছে। তাতে তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন ও মিডিয়া) মো. জান্নাত উল ফরহাদ জানান, পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে এক হাজার ৫৩১ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে আনা হয়েছে। বাকি পলাতক আসামি ও লুণ্ঠিত অস্ত্রের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার এখন পুলিশের কাজ। তবে বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। আগে প্রতিটি কারাগারে নিজস্বভাবে বন্দিদের তথ্য রাখা হতো। ওই সময় কারাগারগুলোতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের কারণে দুটি কারাগারের নথিপত্র পুড়ে গেছে। তবে বিভিন্ন মামলা থেকে পালিয়ে যাওয়ার বন্দিদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনো সেন্ট্রাল সার্ভার না থাকায় কারাগারের নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় অনেক বন্দির পরিচয় নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বন্দিদের ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্টসহ কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল সার্ভারে ছবিসহ তথ্য রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।