ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

নুরকে বিদেশে পাঠানো নিয়ে টালবাহানা করছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৩১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

গন অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর হামলার ১৪দিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশে নেওয়ার কথা বললেও এখন নেয়নি বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাগান গেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন।

আল মামুন বলেন, যারা হামলার সাথে জড়িত সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য ও পুলিশ বাহিনীর কতিপয় সদস্য মিডিয়ার মাধ্যমে সারা দেশের মানুষ দেখেছে। কি ন্যক্কারজনক ভাবে হামলা হয়েছে। কিন্তু আজকে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরেও তারা কেউ গ্রেফতার হয়নি। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিশন গঠন করতে দেখেছি। কিন্তু সেটিরও দৃশ্যমান পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করছি না। সরকারের যে টালবাহানা, এই টালবাহানা আমরা কোন ভাবেই মেনে নেব না। সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ ছিল, কি কারণে পদক্ষেপ নিচ্ছেনা এই প্রশ্নটি আজ দেশের মানুষ রাখছে। তার মানে কি সরকার সেনাবাহিনীকে ভয় পাচ্ছে! নাকি অন্য কোন ষড়যন্ত্র এখানে আছে!

আল মামুন বলেন, নুরুল হক নুর আজকে ১৪দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সার্বিক যে স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি সেই বিবেচনায় তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রেসসচিব শফিকুল ইসলাম আমাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যদি সরকার দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সরকার সেটি আমাদের জানিয়ে দিক, আমরা আমার নেতা কর্মীরা সংগঠনের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এখন পর্যন্ত সরকারের ঘোষণার পরেও বিদেশে নেওয়া হচ্ছে না। নুরুল হকের নাকের যে হাড় ভেঙ্গেছে তা দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা। বাংলাদেশের চিকিৎসার উপর আস্থা রেখে বলছি, তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া উচিৎ।

তিনি আরও বলেন, সেনাপ্রধান বলেছিলেন, তিসি রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ চান, আওয়ামী লীগের আবার ফেরাতে চান। কিন্তু সে আশা তার গুরেবালি হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি, জাতীয় পার্টির মাধ্যমে রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ তিনি চেয়ে ছিলেন। তার একটি নমুনা আমরা দেখেছি, রংপুরে মোস্তাফিজার রহমান তার বক্তব্যে বলেছেন যে আমরা স্বচ্ছ আওয়ামী লীগকে নিতে চাই এবং নমিনেশন দিতে চাই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নুরকে বিদেশে পাঠানো নিয়ে টালবাহানা করছে সরকার

আপডেট সময়ঃ ০৪:৩১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গন অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর হামলার ১৪দিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশে নেওয়ার কথা বললেও এখন নেয়নি বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাগান গেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন।

আল মামুন বলেন, যারা হামলার সাথে জড়িত সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য ও পুলিশ বাহিনীর কতিপয় সদস্য মিডিয়ার মাধ্যমে সারা দেশের মানুষ দেখেছে। কি ন্যক্কারজনক ভাবে হামলা হয়েছে। কিন্তু আজকে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরেও তারা কেউ গ্রেফতার হয়নি। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিশন গঠন করতে দেখেছি। কিন্তু সেটিরও দৃশ্যমান পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করছি না। সরকারের যে টালবাহানা, এই টালবাহানা আমরা কোন ভাবেই মেনে নেব না। সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ ছিল, কি কারণে পদক্ষেপ নিচ্ছেনা এই প্রশ্নটি আজ দেশের মানুষ রাখছে। তার মানে কি সরকার সেনাবাহিনীকে ভয় পাচ্ছে! নাকি অন্য কোন ষড়যন্ত্র এখানে আছে!

আল মামুন বলেন, নুরুল হক নুর আজকে ১৪দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সার্বিক যে স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি সেই বিবেচনায় তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রেসসচিব শফিকুল ইসলাম আমাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যদি সরকার দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সরকার সেটি আমাদের জানিয়ে দিক, আমরা আমার নেতা কর্মীরা সংগঠনের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এখন পর্যন্ত সরকারের ঘোষণার পরেও বিদেশে নেওয়া হচ্ছে না। নুরুল হকের নাকের যে হাড় ভেঙ্গেছে তা দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা। বাংলাদেশের চিকিৎসার উপর আস্থা রেখে বলছি, তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া উচিৎ।

তিনি আরও বলেন, সেনাপ্রধান বলেছিলেন, তিসি রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ চান, আওয়ামী লীগের আবার ফেরাতে চান। কিন্তু সে আশা তার গুরেবালি হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি, জাতীয় পার্টির মাধ্যমে রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ তিনি চেয়ে ছিলেন। তার একটি নমুনা আমরা দেখেছি, রংপুরে মোস্তাফিজার রহমান তার বক্তব্যে বলেছেন যে আমরা স্বচ্ছ আওয়ামী লীগকে নিতে চাই এবং নমিনেশন দিতে চাই।