ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

চীন বিনামূল্যে বাংলাদেশকে দিচ্ছে ২০টি রেল ইঞ্জিন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০২:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ (এমজি) লোকোমোটিভ কেনায় সহায়তা হিসেবে চীন ১২৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার (প্রায় ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা) অনুদান দিচ্ছে। রেল মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ‘চায়না গ্রান্টের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রস্তাব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (পিডিপিপি) অনুমোদন দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পিডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা দেবে চীন এবং বাকি ৪৪ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে আসবে। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার পরিকল্পনা আছে। এই সময়ে ২০টি লোকোমোটিভ ছাড়াও খুচরা যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি এবং বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও মেকানিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

বর্তমানে রেলওয়ের বহরে ৩০৬টি লোকোমোটিভ আছে—১৭৪টি মিটারগেজ ও ১৩২টি ব্রডগেজ। এর মধ্যে ১২৪টি এমজি লোকোমোটিভ অর্থাৎ ৭১ শতাংশ নকশাগত আয়ুষ্কাল পার করেছে। ৬৮টি ইঞ্জিন ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এবং ৮৪টি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার হচ্ছে। প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, পুরোনো ইঞ্জিন সচল রাখা কঠিন, খরচ বেশি এবং রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

২০২০ সালের জানুয়ারির ওয়ার্কিং টাইম টেবিল অনুযায়ী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও লালমনিরহাট বিভাগে এমজি রুটে ২০৩টি লোকোমোটিভ প্রয়োজন ছিল, কিন্তু বর্তমানে সক্রিয় আছে মাত্র ১৮২টি। ফলে অন্তত ২১টির ঘাটতি রয়েছে। নতুন ২০টি চীনা লোকোমোটিভ এলে যাত্রী ও মালবাহী পরিবহনে নতুন সেবা চালু করা সম্ভব হবে, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ও জ্বালানি ব্যয় কমবে এবং আধুনিক ইঞ্জিন নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য চলাচল নিশ্চিত করবে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ উভয় ধরনের লোকোমোটিভে আরও বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন, কারণ বহরের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি এমজি ইঞ্জিন আয়ুষ্কাল পার করেছে। সময়মতো প্রতিস্থাপন না হলে রেলওয়ের সেবা ও কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

চীন বিনামূল্যে বাংলাদেশকে দিচ্ছে ২০টি রেল ইঞ্জিন

আপডেট সময়ঃ ০২:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ (এমজি) লোকোমোটিভ কেনায় সহায়তা হিসেবে চীন ১২৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার (প্রায় ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা) অনুদান দিচ্ছে। রেল মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ‘চায়না গ্রান্টের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রস্তাব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (পিডিপিপি) অনুমোদন দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পিডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা দেবে চীন এবং বাকি ৪৪ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে আসবে। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার পরিকল্পনা আছে। এই সময়ে ২০টি লোকোমোটিভ ছাড়াও খুচরা যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি এবং বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও মেকানিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

বর্তমানে রেলওয়ের বহরে ৩০৬টি লোকোমোটিভ আছে—১৭৪টি মিটারগেজ ও ১৩২টি ব্রডগেজ। এর মধ্যে ১২৪টি এমজি লোকোমোটিভ অর্থাৎ ৭১ শতাংশ নকশাগত আয়ুষ্কাল পার করেছে। ৬৮টি ইঞ্জিন ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এবং ৮৪টি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার হচ্ছে। প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, পুরোনো ইঞ্জিন সচল রাখা কঠিন, খরচ বেশি এবং রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

২০২০ সালের জানুয়ারির ওয়ার্কিং টাইম টেবিল অনুযায়ী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও লালমনিরহাট বিভাগে এমজি রুটে ২০৩টি লোকোমোটিভ প্রয়োজন ছিল, কিন্তু বর্তমানে সক্রিয় আছে মাত্র ১৮২টি। ফলে অন্তত ২১টির ঘাটতি রয়েছে। নতুন ২০টি চীনা লোকোমোটিভ এলে যাত্রী ও মালবাহী পরিবহনে নতুন সেবা চালু করা সম্ভব হবে, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ও জ্বালানি ব্যয় কমবে এবং আধুনিক ইঞ্জিন নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য চলাচল নিশ্চিত করবে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ উভয় ধরনের লোকোমোটিভে আরও বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন, কারণ বহরের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি এমজি ইঞ্জিন আয়ুষ্কাল পার করেছে। সময়মতো প্রতিস্থাপন না হলে রেলওয়ের সেবা ও কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।