ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

- আপডেট সময়ঃ ০৩:২১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন। নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক আইনে সংজ্ঞায়িত পাঁচটি গণহত্যার কর্মকাণ্ডের মধ্যে চারটি গাজায় সংঘটিত হয়েছে।
এগুলো হলো— একটি গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা; তাদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করা; এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যাতে করে ওই গোষ্ঠী ধ্বংস হয়ে যায় এবং জন্ম প্রতিরোধ করা।
প্রতিবেদনে ইসরায়েলি নেতাদের বক্তব্য এবং সেনাদের কর্মকাণ্ডের ধরণকে গণহত্যার অভিপ্রায়ের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটিকে ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এক মুখপাত্র কমিশনের তিন বিশেষজ্ঞকে ‘হামাসের পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযুক্ত করেন এবং বলেন, তারা পুরোপুরি হামাসের মিথ্যা দাবির ওপর নির্ভর করেছেন, যা আগেই খণ্ডিত হয়েছে।
ইসরায়েলি পক্ষ দাবি করেছে, প্রতিবেদনে যে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে তার বিপরীতে হামাসই ইসরায়েলে গণহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তারা ১,২০০ মানুষ হত্যা করেছে, নারী ধর্ষণ করেছে, পরিবারগুলোকে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে এবং প্রতিটি ইহুদিকে হত্যার লক্ষ্য প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় নজিরবিহীন সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪,৯০৫ জন নিহত হয়েছে। গাজার অধিকাংশ মানুষ বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে; প্রায় ৯০% বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে; স্বাস্থ্যসেবা, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে; এবং জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা গাজা সিটিতে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছেন।
সূত্র : বিবিসি।