এক হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পথে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ

- আপডেট সময়ঃ ১১:৪৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে ঘটা করে এনসিপি আত্মপ্রকাশ করলেও সাত মাস পর দলটির শীর্ষ নেতারা আর এককভাবে এগোতে চাইছেন না। ইতোমধ্যেই গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য আলোচনাও শুরু হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে এনসিপি ইতোমধ্যেই অনানুষ্ঠানিকভাবে এই আলোচনা শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে দল দুটি আলোচনায় অগ্রগতি করেছে।
শাকিল উজ্জামান জানান, “দেশের মানুষ এখন রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব চাইছে। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণরা সেই সম্ভাবনা আরও প্রকট করেছে। মানুষ এই সংগ্রামী তরুণদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে চায়। ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ভূমিকা রাখা তরুণরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে দেশের মানুষ একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ওপর আস্থা রাখতে পারবে। আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র সংস্কারে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি।”
তিনি আরও জানান, “এনসিপির অনেক নেতাই আগে গণঅধিকার পরিষদ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের বীজ বপন হয়েছে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে। গণঅধিকার পরিষদ একমাত্র রাজনৈতিক দল যা রাজপথের আন্দোলন থেকে গড়ে উঠেছে। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরও এর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাবাজি, চাঁদাবাজি বা ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ নেই। নতুন বাংলাদেশ গঠনে এনসিপিসহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে এই ঐক্যের আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জুলাইয়ের মূল অংশীজনদের ঐক্যের বিকল্প নেই।”
এদিকে নতুন রাজনৈতিক দলের কাঠামো ও পদসংক্রান্ত বিষয়ে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, “একযোগে কতজন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন, তা নিয়ে একাংশে জটিলতা রয়েছে। একাধিক দল যুক্ত থাকায় পদ বিতরণ আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা একসাথে কাজ করবেন এবং আলোচনা অব্যাহত থাকবে।