আজ ফের মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান

- আপডেট সময়ঃ ১২:০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
রাজনীতি, কূটনীতি এবং প্রতীকী দূরত্ব সত্ত্বেও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত আর পাকিস্তান একই টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার। এবার টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে। দুবাইয়ে ম্যাচটি শুরু হবে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়।
গ্রুপপর্বে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তবে ভারতের দাপুটে খেলার থেকে ওই ম্যাচে বেশি আলোচনা ছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে না চাওয়া, যাতে জড়িয়ে পড়ে ম্যাচ রেফারির নামও।
ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট টসের আগে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগাকে ভারতীয় দলপতি সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে হাত মেলাতে নিষেধ করেন। একজন ম্যাচ রেফারি এমন নির্দেশনা দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি।
পাকিস্তান আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগও পাঠায়। হুমকি দেয় টুর্নামেন্ট বয়কটের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে পাকিস্তান মাঠে নামবে কিনা, তা নিয়ে ছিল ঘোর অনিশ্চয়তা। পরে আলাপ-আলোচনার পর খেলতে রাজি হয় পাকিস্তান, তবে ম্যাচটি শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে।
যে দলের বিপক্ষে ম্যাচের পর এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, সেই দলের বিপক্ষে আবারও মাঠে নামতে যাচ্ছে পাকিস্তান। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছে সালমান আগার দল। এবার মাঠে কী হবে? দুশ্চিন্তা রয়েই যাচ্ছে।
মাঠের ক্রিকেটের হিসেব করলে ভারতকে ওমানের বিপক্ষে ম্যাচে একদম অজেয় শক্তি মনে হয়নি। সূর্যকুমারের দল জয় পেলেও বেশ কিছু দুর্বলতা চোখে পড়েছে সেই ম্যাচে। ওমানের বাঁহাতি পেসার শাহ ফয়সাল তৃতীয় বলেই শুভমান গিলকে বোল্ড করেন এবং সঞ্জু স্যামসন বারবার বল মিস করছিলেন। পাকিস্তানের দলে আছেন বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। নামেই শুধু মিল নয়, স্কিলেও তিনি ভয়ঙ্কর।
ভারতের ব্যাটাররা সংগ্রাম করেছেন মন্থর উইকেটে। বোলিংও ভালো হয়নি। ওমানের মাত্র চারটি উইকেট নিতে পারেন ভারতীয় বোলাররা।
ফলে পাকিস্তানের সামনে ভালো সুযোগ আছে গ্রুপপর্বে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার। পাকিস্তান কি সেটি পারবে? কাগজে-কলমে পরিস্থিতি ভারতের পক্ষে। শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ, বোলিং রিজার্ভ এবং সাম্প্রতিক ফর্ম ভারতকেই এগিয়ে রাখবে।
তবে পাকিস্তানেরও পক্ষে থাকছে কিছু জিনিস। কন্ডিশন উপযোগী পেস আক্রমণ, মানসিক চাপহীন অবস্থা এবং নিজেদের প্রমাণ করার তাগিদ। সবচেয়ে বড় কথা, পাকিস্তান দল বরাবরই আনপ্রেডিক্টেবল। নিজেদের দিনে তারা প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারে যতই খারাপ ফর্মে থাকুক।
তাই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াইয়ের অপেক্ষা করতেই পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।