ঢাকা, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

দুর্গাপূজায় কোন নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই’দুর্গোৎসব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ বছর শারদীয় দুর্গা পূজা ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আগের চেয়ে আরও বেশি উন্নত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবেন। কোথাও নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জ শহরের শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের দুর্গা পূজা খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে এবং ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে ৩৩ হাজার পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আশি হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী নিয়োজিত থাকবে। তাই কোথাও নিরাপত্তা ঝুঁকির কোন আশংকা নেই’।

এবার সব ধরনের মানুষ যাতে মিলেমিশে উৎসব উদযাপন করতে পারেন সরকার সেই ব্যবস্থা করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেই লক্ষ্যে ইতিপূর্বে দেশের সবগুলো পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। প্রতিমা নির্মাণের শুরু থেকেই প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি পূজা মণ্ডপ সার্বক্ষণিক সিসি টিভির ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে।’

নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আনসার, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও আয়োজকদের নিজস্ব ভলান্টিয়ার কাজ করবে। পাশাপাশি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৮০ হাজার ভলান্টিয়ারও নিয়োজিত থাকবে। তাই কোথাও নিরাপত্তার কোন আশংকা বা ঝুঁকি নেই’।

উপদেষ্টা বলেন, পূজারি ও দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পূজা পালন করতে পারেন তার জন্য মণ্ডপ ঘিরে কোন জনসমাগম করতে দেয়া হবে না। বিগত বছরগুলোর মতো পূজা মণ্ডপের আশপাশে কোন মেলা বসতে পারবে না। তবে কিছু দোকান বসতে পারবে। পূজা উদযাপন কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দোকানগুলো পরিচালিত হবে’।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হোসেন, র‍্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, বিজিবি ৬২ ব্যাটেলিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালাউদ্দিন চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকত কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন চন্দ্র শিপন, শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথনন্দ, আমলাপাড়া সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহাসহ বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ কমিটির নেতারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্গাপূজায় কোন নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই’দুর্গোৎসব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময়ঃ ০৪:০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ বছর শারদীয় দুর্গা পূজা ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আগের চেয়ে আরও বেশি উন্নত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবেন। কোথাও নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জ শহরের শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের দুর্গা পূজা খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে এবং ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে ৩৩ হাজার পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আশি হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী নিয়োজিত থাকবে। তাই কোথাও নিরাপত্তা ঝুঁকির কোন আশংকা নেই’।

এবার সব ধরনের মানুষ যাতে মিলেমিশে উৎসব উদযাপন করতে পারেন সরকার সেই ব্যবস্থা করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেই লক্ষ্যে ইতিপূর্বে দেশের সবগুলো পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। প্রতিমা নির্মাণের শুরু থেকেই প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি পূজা মণ্ডপ সার্বক্ষণিক সিসি টিভির ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে।’

নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আনসার, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও আয়োজকদের নিজস্ব ভলান্টিয়ার কাজ করবে। পাশাপাশি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৮০ হাজার ভলান্টিয়ারও নিয়োজিত থাকবে। তাই কোথাও নিরাপত্তার কোন আশংকা বা ঝুঁকি নেই’।

উপদেষ্টা বলেন, পূজারি ও দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পূজা পালন করতে পারেন তার জন্য মণ্ডপ ঘিরে কোন জনসমাগম করতে দেয়া হবে না। বিগত বছরগুলোর মতো পূজা মণ্ডপের আশপাশে কোন মেলা বসতে পারবে না। তবে কিছু দোকান বসতে পারবে। পূজা উদযাপন কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দোকানগুলো পরিচালিত হবে’।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হোসেন, র‍্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, বিজিবি ৬২ ব্যাটেলিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালাউদ্দিন চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকত কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন চন্দ্র শিপন, শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথনন্দ, আমলাপাড়া সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহাসহ বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ কমিটির নেতারা।