ঢাকা, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ওয়াজের মাঠে পিআর পদ্ধতির আলোচনা মেনে নেওয়া হবে না: তাহেরী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:১৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে সম্প্রতি বিভাজন ও পিআর পদ্ধতির রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, সুন্নি আলেম ও পীর-মাশায়েখরা। এ বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন,মাওলানা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু দল এবং কিছু আলেম ওয়াজের মাঠে তারা তাফসীরে ইন্ডিয়া, তাফসীরে পাকিস্তান,তাফসীরে আমেরিকা এবং তাফসীরে পিয়ার নিয়ে আলোচনা করে। শুধুমাত্র ধান্দাবাজি করে ওয়াজের মাঠকে একটা সংঘাতের মাঠ বানিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। বিশেষ এক গোষ্ঠী সাম্প্রতিক সময়ে মাজার ভাঙ্গা, কবর থেকে মরদেহ তুলে আগুনে পোড়ানোর মতো কাজ করছে, যা সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছে।তারা মাঠটা গরম রাখে অর্থ আদায়ের জন্য। বান্ডেল দিলেই ঠান্ডা হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন,শুধুমাত্র ধান্দাবাজি করে ওয়াজের মাঠকে সংঘাতের মাঠ বানানো হচ্ছে। যার রাজনীতি করতে চান তারা আলাদা মঞ্চ বানিয়ে রাজনীতি করেন। ওয়াজের মাঠের একটি মর্যাদা আছে, এখানে সকল রাজনীতির দল এক সাথে ওয়াজ শোনে।

কেউ যদি ব্যক্তিগত কোন দলের দালালি করেন তাহলে ওয়াজ মাহফিলে প্রতি মানুষের আস্থা হারারে এবং বিভক্তি তৈরি হবে।

তাহেরী দাবি করেন, তাদের ‘দালাল’ বলে ট্যাগ লাগানো হয়। ‘আমরা দালাল নই; আমরা শত শত খতম কোরআন শরীফ পড়ি, সমাজের শান্তির জন্য কাজ করি’। তোমরা দালাল,বিগত সময়ে তোমরা আম্মা ডাকছো খালা ডাকছো,সুবিধা নিয়েছো আর এখন সাধু হয়ে গেছো।

‘তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ঐক্য বজায় রাখার এবং পীর-মাশায়েখদের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার আহ্বান জানা’। ওলামায়ে কেরাম যদি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে একত্রে কাজ করতেন, তবে সমাজের কল্যাণে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।

আগামীতে ১২০০ দরবারে এক হয়ে পীর-মাশায়েখদের একটা জোট হবে।

গিয়াস উদ্দিন তাহেরী বলেন, “আমরা এক হইনি বলে সমাজে অনেক কিছু হারিয়েছি। কোন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সুন্নত ওয়াল জামাত কিছুই পায়নি। ঘুরেফিরে যারাই ক্ষমতায় যাবে,তারাই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে টাকা আসবে,তাদের দলই নিয়ে যাবে।

শেষে তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “হকের ময়দান থেকে পলায়ন করা রাসূলের আদর্শ নয়। হকের পথে থেকে হককে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জীবন দেওয়াটাই নবীর আদর্শ। এজন্য আমরা ভেগে যাব না। সব সুন্নি একসাথে বাঁচতে, একসঙ্গে কথা বলতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়াজের মাঠে পিআর পদ্ধতির আলোচনা মেনে নেওয়া হবে না: তাহেরী

আপডেট সময়ঃ ০৪:১৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে সম্প্রতি বিভাজন ও পিআর পদ্ধতির রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, সুন্নি আলেম ও পীর-মাশায়েখরা। এ বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন,মাওলানা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু দল এবং কিছু আলেম ওয়াজের মাঠে তারা তাফসীরে ইন্ডিয়া, তাফসীরে পাকিস্তান,তাফসীরে আমেরিকা এবং তাফসীরে পিয়ার নিয়ে আলোচনা করে। শুধুমাত্র ধান্দাবাজি করে ওয়াজের মাঠকে একটা সংঘাতের মাঠ বানিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। বিশেষ এক গোষ্ঠী সাম্প্রতিক সময়ে মাজার ভাঙ্গা, কবর থেকে মরদেহ তুলে আগুনে পোড়ানোর মতো কাজ করছে, যা সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছে।তারা মাঠটা গরম রাখে অর্থ আদায়ের জন্য। বান্ডেল দিলেই ঠান্ডা হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন,শুধুমাত্র ধান্দাবাজি করে ওয়াজের মাঠকে সংঘাতের মাঠ বানানো হচ্ছে। যার রাজনীতি করতে চান তারা আলাদা মঞ্চ বানিয়ে রাজনীতি করেন। ওয়াজের মাঠের একটি মর্যাদা আছে, এখানে সকল রাজনীতির দল এক সাথে ওয়াজ শোনে।

কেউ যদি ব্যক্তিগত কোন দলের দালালি করেন তাহলে ওয়াজ মাহফিলে প্রতি মানুষের আস্থা হারারে এবং বিভক্তি তৈরি হবে।

তাহেরী দাবি করেন, তাদের ‘দালাল’ বলে ট্যাগ লাগানো হয়। ‘আমরা দালাল নই; আমরা শত শত খতম কোরআন শরীফ পড়ি, সমাজের শান্তির জন্য কাজ করি’। তোমরা দালাল,বিগত সময়ে তোমরা আম্মা ডাকছো খালা ডাকছো,সুবিধা নিয়েছো আর এখন সাধু হয়ে গেছো।

‘তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ঐক্য বজায় রাখার এবং পীর-মাশায়েখদের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার আহ্বান জানা’। ওলামায়ে কেরাম যদি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে একত্রে কাজ করতেন, তবে সমাজের কল্যাণে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।

আগামীতে ১২০০ দরবারে এক হয়ে পীর-মাশায়েখদের একটা জোট হবে।

গিয়াস উদ্দিন তাহেরী বলেন, “আমরা এক হইনি বলে সমাজে অনেক কিছু হারিয়েছি। কোন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সুন্নত ওয়াল জামাত কিছুই পায়নি। ঘুরেফিরে যারাই ক্ষমতায় যাবে,তারাই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে টাকা আসবে,তাদের দলই নিয়ে যাবে।

শেষে তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “হকের ময়দান থেকে পলায়ন করা রাসূলের আদর্শ নয়। হকের পথে থেকে হককে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জীবন দেওয়াটাই নবীর আদর্শ। এজন্য আমরা ভেগে যাব না। সব সুন্নি একসাথে বাঁচতে, একসঙ্গে কথা বলতে হবে।