ঢাকা, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫ | ই-পেপার

বিসিবি নির্বাচন থেকে কেন সরে দাঁড়ালেন, জানালেন তামিম ইকবাল

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০২:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের আসন্ন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক সফল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বুধবার সকালে মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে এসে তিনি নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। জানা গেছে, নির্বাচনকে ঘিরে কদিন ধরে চলে আসা সমঝোতা প্রক্রিয়া আগের রাতে ভেস্তে যাওয়ায় তামিম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর বিসিবিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তামিম বলেন, “আপনারা জানেন যে আজকে আমরা আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। আমি সহ আমরা ১৪-১৫ জনের মতো আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। প্রত্যাহার করার কারণটা খুবই পরিষ্কার। আমার মনে হয় না খুব বিষদভাবে বা ব্যাখ্যা করে আপনাদের কিছু বলার আছে।”

আসছে ৬ অক্টোবরের এই নির্বাচনকে তামিম আসলে নির্বাচন বলতে নারাজ। তিনি বলেন, “আমি শুরু থেকেই বলে আসছিলাম, নির্বাচন কোন দিকে যাচ্ছে, কীভাবে কী হচ্ছে, তা নিয়ে আপনারা সবাই এখন খুব পরিষ্কার। যখন যা মনে হচ্ছে তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন না। ক্রিকেটের সঙ্গে এটা কোনো দিক থেকেই মানায় না।”

নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, “আপনারা যখন ইসি চূড়ান্ত তালিকা দেবে, তখন সে তালিকা দেখলেই বুঝবেন যারা সরে গেছেন তাদের সবাই হেভিওয়েট। এটা আমাদের মতো করে আমাদের প্রতিবাদ যে এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না। দেশের ক্রিকেট ভক্তরাও এটা ডিজার্ভ করেন না।”

তামিম জানান, আরও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নানা মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করে তাদের নির্বাচনে রাখা হয়েছে। তার কথা, “আমি বলে রাখি, এখানে আরও অনেকে প্রত্যাহার করতেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করে থামানো হয়েছে। তবে ১৫ জনও যদি সরে গিয়ে থাকেন, তাহলে সংখ্যাটা অনেক বড়। ৫০% প্রার্থী সরে যাচ্ছেন। কোনো একদিন এই বিষয়ে ডিটেইলসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।”

শেষে তামিম স্পষ্ট করে জানান, এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়েই থাকবে। তিনি বলেন, “এখন যারা বিসিবিতে আছেন, তারা যেভাবে ইলেকশন করছেন, সেভাবে তারা জিততেও পারেন। তবে এটা ইলেকশন হচ্ছে না। তবে যাই হয়েছে, আমি একটা কথাই বলব যে ক্রিকেট হেরে গিয়েছে। আপনারা বলেন যে ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে, তাদের বলব, আগে আপনারা নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে একটা কালো দাগ হয়ে থাকবে।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিসিবি নির্বাচন থেকে কেন সরে দাঁড়ালেন, জানালেন তামিম ইকবাল

আপডেট সময়ঃ ০২:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের আসন্ন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক সফল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বুধবার সকালে মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে এসে তিনি নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। জানা গেছে, নির্বাচনকে ঘিরে কদিন ধরে চলে আসা সমঝোতা প্রক্রিয়া আগের রাতে ভেস্তে যাওয়ায় তামিম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর বিসিবিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তামিম বলেন, “আপনারা জানেন যে আজকে আমরা আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। আমি সহ আমরা ১৪-১৫ জনের মতো আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। প্রত্যাহার করার কারণটা খুবই পরিষ্কার। আমার মনে হয় না খুব বিষদভাবে বা ব্যাখ্যা করে আপনাদের কিছু বলার আছে।”

আসছে ৬ অক্টোবরের এই নির্বাচনকে তামিম আসলে নির্বাচন বলতে নারাজ। তিনি বলেন, “আমি শুরু থেকেই বলে আসছিলাম, নির্বাচন কোন দিকে যাচ্ছে, কীভাবে কী হচ্ছে, তা নিয়ে আপনারা সবাই এখন খুব পরিষ্কার। যখন যা মনে হচ্ছে তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন না। ক্রিকেটের সঙ্গে এটা কোনো দিক থেকেই মানায় না।”

নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, “আপনারা যখন ইসি চূড়ান্ত তালিকা দেবে, তখন সে তালিকা দেখলেই বুঝবেন যারা সরে গেছেন তাদের সবাই হেভিওয়েট। এটা আমাদের মতো করে আমাদের প্রতিবাদ যে এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না। দেশের ক্রিকেট ভক্তরাও এটা ডিজার্ভ করেন না।”

তামিম জানান, আরও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নানা মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করে তাদের নির্বাচনে রাখা হয়েছে। তার কথা, “আমি বলে রাখি, এখানে আরও অনেকে প্রত্যাহার করতেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করে থামানো হয়েছে। তবে ১৫ জনও যদি সরে গিয়ে থাকেন, তাহলে সংখ্যাটা অনেক বড়। ৫০% প্রার্থী সরে যাচ্ছেন। কোনো একদিন এই বিষয়ে ডিটেইলসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।”

শেষে তামিম স্পষ্ট করে জানান, এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়েই থাকবে। তিনি বলেন, “এখন যারা বিসিবিতে আছেন, তারা যেভাবে ইলেকশন করছেন, সেভাবে তারা জিততেও পারেন। তবে এটা ইলেকশন হচ্ছে না। তবে যাই হয়েছে, আমি একটা কথাই বলব যে ক্রিকেট হেরে গিয়েছে। আপনারা বলেন যে ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে, তাদের বলব, আগে আপনারা নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে একটা কালো দাগ হয়ে থাকবে।”