আর্থিক সংকট: ১৪ হাজার শান্তিরক্ষী কমানোর সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের

- আপডেট সময়ঃ ০৪:০৩:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
অর্থের ঘাটতির কারণে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী ৯টি শান্তিরক্ষা অভিযানে প্রায় এক-চতুর্থাংশ সেনা ও পুলিশ সদস্য কমাতে যাচ্ছে। বুধবার জাতিসংঘের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভবিষ্যৎ অর্থায়ন অনিশ্চিত থাকায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে।
একজন সিনিয়র জাতিসংঘ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমাদের মোট শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ২৫ শতাংশ সেনা ও পুলিশ সদস্যকে তাদের সরঞ্জামসহ নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া মিশনগুলোতে কর্মরত বিপুলসংখ্যক বেসামরিক কর্মচারীও এ সিদ্ধান্তের প্রভাবে পড়বেন।’
তিনি জানান, এটি প্রায় ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্যের সমান। ওয়াশিংটন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা, যা মোট বাজেটের ২৬ শতাংশের বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন।
যার অবদান প্রায় ২৪ শতাংশ। এসব অর্থ প্রদান স্বেচ্ছাসেবী নয়, বরং বাধ্যতামূলক।
আরেক কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছর শুরু হওয়ার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘের কাছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল। এখন আরো ১.৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হওয়ায় মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ২.৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
প্রথম কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে জানিয়েছে তারা শিগগিরই ৬৮০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে। তবে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী মিশন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গত আগস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসে পাঠানো এক বার্তায় ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য বরাদ্দ করা প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের শান্তিরক্ষা তহবিল একতরফাভাবে বাতিল করেন।
হোয়াইট হাউসের বাজেট অফিস ২০২৬ সালের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিসনের অর্থায়ন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার প্রস্তাবও দিয়েছে। তাদের যুক্তি, মালি, লেবানন ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম কার্যকরভাবে সফল হয়নি।
যে ৯টি মিশন এ সিদ্ধান্তের আওতায় আসবে সেগুলো হলো— দক্ষিণ সুদান, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লেবানন, কসোভো, সাইপ্রাস, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পশ্চিম সাহারা, ইসরায়েল-সিরিয়ার মধ্যে গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল এবং আবিয়েই। দক্ষিণ সুদান ও সুদানের যৌথভাবে পরিচালিত প্রশাসনিক এলাকা এগুলো।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও সংস্থাটির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে অর্থসংকট মোকাবেলায় ব্যয় কমানো ও দক্ষতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজছেন।
সূত্র : রয়টার্স