ঢাকা, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছে : আসিফ মাহমুদ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:০২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১১৬ বার পড়া হয়েছে

৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দলটির শীর্ষ নেতারা হয় আত্মগোপনে আছেন, নয়তো দেশ ছেড়েই পালিয়েছেন। এই তালিকায় সাবেক হুইপ ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মুর্তজাও রয়েছেন। স্বৈরাচারী হাসিনা পালানোর পর থেকে দেশে থাকলেও অনেকটা আত্মগোপনে ম্যাশ। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের মতে, মাশরাফি এখন আর রাজনীতিতে নেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন আসিফ। মূলত সাকিব ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফীর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সাকিবকে নিয়ে উপদেষ্টার মন্তব্য, তাকে দেশে খেলতে দেওয়ার বিষয়ে সহায়তা করার সুযোগ আর নেই। এখনো শেখ হাসিনাকে সমর্থনই তার মূল কারণ।

সাকিবের বিষয়ে আসিফের ভাষ্য, ‘প্রথমত সাকিব আল হাসানের বিষয়গুলো কীভাবে আসল? শেয়ার মার্কেটে কেলেঙ্কারি নিয়ে মামলা হলো, তারপর আরও কিছু ফিন্যানশিয়াল ফ্রড নিয়ে দুদকের মামলা চলছে, তারপর তার বাবা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ভিডিও সামনে এসেছে, তার পরিবারের বিরুদ্ধেও সম্ভবত হত্যা-মামলা আছে। তো এগুলোর কারণে সামনে এসেছে বিষয়টা, এমন না যে আমরা পিক-আপ করে নিয়ে এসেছি। আদার অ্যাক্টিভিটিস যেগুলোর কারণে বিষয়টা সামনে চলে এসেছে। এরপর উনার শেখ হাসিনাকে এনডোর্স করার দিক দিয়ে এটা আবার আলোচিত হয়েছে।’

মাশরাফীর রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘কিন্তু মাশরাফী বিন মুর্তজার বিষয়ে এমন কিছু আছে কি না, এমন আমার জানা নেই বা আমার চোখে পড়েনি। আমার জানা মতে উনি ওনার যে রাজনৈতিক অবস্থান ছিল, সেটা থেকেও আবার সরে এসেছেন, ফেসবুকে উনি স্পষ্ট করেছেন বলে আমার মনে পড়ে।’

অবশ্য, নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিতও ফেসবুকে দেননি মাশরাফী। গেল বছরের আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ম্যাশ পরিষ্কার করেছিলেন, রাজনীতিতে আর নেই তিনি।

সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!’

এদিকে গেল এক বছরেও মাশরাফীর ফেসবুক পোস্টগুলোয় রাজনীতি বা আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পক্ষান্তরে, একাধিকবার আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে বক্তব্য ও পোস্ট দিয়েছেন সাকিব। তবে সাকিবের মতো মাশরাফী অপরাধ করলে তারও বিচার হওয়ার সম্ভাবনাটিও উড়িয়ে দেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদের কথায়, ‘এর বাইরে যদি উনি রাষ্ট্রীয় আইনে তিনি কিছু করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতেই পারে। ওনার বিষয়টা আলোচনায় নেই। কারণ, উনি তো অবসর নিয়েছেন অনেক আগে। খেলার সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট জিনিসের সঙ্গে তিনি আর ইনভলভ হন নাই। যে কারণে সেভাবে আলোচনায় আসেনাই। বাকিদেরটা যেভাবে রেলেভেন্ট ছিল, তারটা সেভাবে রেলেভেন্ট ছিল না আরকি।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছে : আসিফ মাহমুদ

আপডেট সময়ঃ ০৪:০২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দলটির শীর্ষ নেতারা হয় আত্মগোপনে আছেন, নয়তো দেশ ছেড়েই পালিয়েছেন। এই তালিকায় সাবেক হুইপ ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মুর্তজাও রয়েছেন। স্বৈরাচারী হাসিনা পালানোর পর থেকে দেশে থাকলেও অনেকটা আত্মগোপনে ম্যাশ। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের মতে, মাশরাফি এখন আর রাজনীতিতে নেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন আসিফ। মূলত সাকিব ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফীর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সাকিবকে নিয়ে উপদেষ্টার মন্তব্য, তাকে দেশে খেলতে দেওয়ার বিষয়ে সহায়তা করার সুযোগ আর নেই। এখনো শেখ হাসিনাকে সমর্থনই তার মূল কারণ।

সাকিবের বিষয়ে আসিফের ভাষ্য, ‘প্রথমত সাকিব আল হাসানের বিষয়গুলো কীভাবে আসল? শেয়ার মার্কেটে কেলেঙ্কারি নিয়ে মামলা হলো, তারপর আরও কিছু ফিন্যানশিয়াল ফ্রড নিয়ে দুদকের মামলা চলছে, তারপর তার বাবা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ভিডিও সামনে এসেছে, তার পরিবারের বিরুদ্ধেও সম্ভবত হত্যা-মামলা আছে। তো এগুলোর কারণে সামনে এসেছে বিষয়টা, এমন না যে আমরা পিক-আপ করে নিয়ে এসেছি। আদার অ্যাক্টিভিটিস যেগুলোর কারণে বিষয়টা সামনে চলে এসেছে। এরপর উনার শেখ হাসিনাকে এনডোর্স করার দিক দিয়ে এটা আবার আলোচিত হয়েছে।’

মাশরাফীর রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘কিন্তু মাশরাফী বিন মুর্তজার বিষয়ে এমন কিছু আছে কি না, এমন আমার জানা নেই বা আমার চোখে পড়েনি। আমার জানা মতে উনি ওনার যে রাজনৈতিক অবস্থান ছিল, সেটা থেকেও আবার সরে এসেছেন, ফেসবুকে উনি স্পষ্ট করেছেন বলে আমার মনে পড়ে।’

অবশ্য, নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিতও ফেসবুকে দেননি মাশরাফী। গেল বছরের আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ম্যাশ পরিষ্কার করেছিলেন, রাজনীতিতে আর নেই তিনি।

সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!’

এদিকে গেল এক বছরেও মাশরাফীর ফেসবুক পোস্টগুলোয় রাজনীতি বা আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পক্ষান্তরে, একাধিকবার আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে বক্তব্য ও পোস্ট দিয়েছেন সাকিব। তবে সাকিবের মতো মাশরাফী অপরাধ করলে তারও বিচার হওয়ার সম্ভাবনাটিও উড়িয়ে দেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদের কথায়, ‘এর বাইরে যদি উনি রাষ্ট্রীয় আইনে তিনি কিছু করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতেই পারে। ওনার বিষয়টা আলোচনায় নেই। কারণ, উনি তো অবসর নিয়েছেন অনেক আগে। খেলার সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট জিনিসের সঙ্গে তিনি আর ইনভলভ হন নাই। যে কারণে সেভাবে আলোচনায় আসেনাই। বাকিদেরটা যেভাবে রেলেভেন্ট ছিল, তারটা সেভাবে রেলেভেন্ট ছিল না আরকি।’