ঢাকা, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | ই-পেপার

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:২১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর নির্বাচনকে উদাহরণ দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শিক্ষার্থী ও নারী সমাজ ইসলামী মূল্যবোধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং সেটি ভবিষ্যতে দেশের জন্য দিকনির্দেশক হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা-১৫ আসনের একটি সমাবেশে এসব মত প্রকাশ করেন।

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি উল্লেখ করেন, যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে গভীরভাবে গ্রহণ করছে।

চলতি বছরে তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফলই এই চিত্র স্পষ্ট করেছে—ছাত্রী ও তরুণরা ছাত্রশিবিরের প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন। ডা. শফিকুর বলেন, ‘এভাবেই আগামীতে বাংলাদেশের সামাজিক পরিমণ্ডল গড়ে উঠবে।’

দেশের নারীর মর্যাদা ও তাদের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ৯১ শতাংশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে মা ও নারীর মর্যাদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

কুরআন ও নবীর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চায় মা জাতিকে সম্মানে অধিষ্ঠিত করতে ও জননৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশ নিশ্চিত করতে।

তিনি যোগ্যতার ভিত্তিতে দরকারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও রাষ্ট্র গঠনে অংশ নেবে—এটাই আমাদের লক্ষ্য।

ডা. শফিকুর আরও বলেন, সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের ধর্ম, রাজনৈতিক পরিচয়, বা বর্ণ বিবেচনা করে বিচ্যুতি করা হবে না—সবাই এই দেশের নাগরিক এবং সেই দৃষ্টিকোণে তাদের সঙ্গে ব্যবসা করা হবে।

তিনি জাতীয় অগ্রগতির জন্য দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলেন, যারা দায়িত্ব সামলাতে যোগ্য তারা যে দলেরই হোক—তাদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

সমাজব্যবস্থার কিছু মৌলিক লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে তিনি জানান — একটি সুচারু শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, দুর্নীতির বিস্তার দূর করা এবং সবাইকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

তিনি আশ্বাস দেন, শিক্ষা না এলে জাতি এগোবে না; দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে লড়াই করা হবে; ও সর্বস্তরের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে যাতে বয়স্ক-বালক-বালিকা বা নারী-বিচারহীনতার শিকার না হন।

সমাবেশে তিনি মনে করান যে, একটি সমাজ যেখানে যুব সিদ্ধান্তগ্রহণে সক্রিয় এবং মহিলারা এগিয়ে আসবে, সেই সমাজ ও জাতিই স্থায়ী পরিবর্তন দেখে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে

আপডেট সময়ঃ ০৬:২১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

রাজশাহীর নির্বাচনকে উদাহরণ দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শিক্ষার্থী ও নারী সমাজ ইসলামী মূল্যবোধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং সেটি ভবিষ্যতে দেশের জন্য দিকনির্দেশক হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা-১৫ আসনের একটি সমাবেশে এসব মত প্রকাশ করেন।

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি উল্লেখ করেন, যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে গভীরভাবে গ্রহণ করছে।

চলতি বছরে তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফলই এই চিত্র স্পষ্ট করেছে—ছাত্রী ও তরুণরা ছাত্রশিবিরের প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন। ডা. শফিকুর বলেন, ‘এভাবেই আগামীতে বাংলাদেশের সামাজিক পরিমণ্ডল গড়ে উঠবে।’

দেশের নারীর মর্যাদা ও তাদের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ৯১ শতাংশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে মা ও নারীর মর্যাদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

কুরআন ও নবীর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চায় মা জাতিকে সম্মানে অধিষ্ঠিত করতে ও জননৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশ নিশ্চিত করতে।

তিনি যোগ্যতার ভিত্তিতে দরকারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও রাষ্ট্র গঠনে অংশ নেবে—এটাই আমাদের লক্ষ্য।

ডা. শফিকুর আরও বলেন, সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের ধর্ম, রাজনৈতিক পরিচয়, বা বর্ণ বিবেচনা করে বিচ্যুতি করা হবে না—সবাই এই দেশের নাগরিক এবং সেই দৃষ্টিকোণে তাদের সঙ্গে ব্যবসা করা হবে।

তিনি জাতীয় অগ্রগতির জন্য দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলেন, যারা দায়িত্ব সামলাতে যোগ্য তারা যে দলেরই হোক—তাদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

সমাজব্যবস্থার কিছু মৌলিক লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে তিনি জানান — একটি সুচারু শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, দুর্নীতির বিস্তার দূর করা এবং সবাইকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

তিনি আশ্বাস দেন, শিক্ষা না এলে জাতি এগোবে না; দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে লড়াই করা হবে; ও সর্বস্তরের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে যাতে বয়স্ক-বালক-বালিকা বা নারী-বিচারহীনতার শিকার না হন।

সমাবেশে তিনি মনে করান যে, একটি সমাজ যেখানে যুব সিদ্ধান্তগ্রহণে সক্রিয় এবং মহিলারা এগিয়ে আসবে, সেই সমাজ ও জাতিই স্থায়ী পরিবর্তন দেখে।