রাকসু নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

- আপডেট সময়ঃ ০৬:২৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। ভোটগণনা শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে, এখন চলছে গণনার প্রস্তুতি।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
তবে ৪টার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্রের আঙিনায় প্রবেশ করেছিলেন, তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সব কেন্দ্রে একজন ভোটার গড়ে ১০ মিনিট সময়ের মধ্যে কোনো রকম বিঘ্ন ছাড়াই ভোট দিতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিকেল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কেন্দ্রীয়ভাবে ১৭টি কেন্দ্রের ফলাফল গণনা শুরুর কথা থাকলেও ভোট গণনার বিষয়ে অধ্যাপক পারভেজ আজহারুল হক বলেন, “৫টায় ভোট গণনা শুরুর কথা থাকলেও ৬টায় শুরু হবে।”
এদিকে, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে যারা ভোট দেননি, তাদের লাইনে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। এরপর কেন্দ্রের গেট বন্ধ করে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে ভোট গণনার প্রস্তুতি শুরু হয়।
নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ জানিয়েছেন, ভোট গণনা হবে ছয়টি অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) মেশিনে। বিশ্ববিদয়্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জায়গায় এলইডি স্ক্রিনে ফলগণনা সরাসরি দেখানো হবে। সবশেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সব কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ভোট গণনার পুরো প্রক্রিয়া সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে।
তিনি বলেছেন, “নয়টি ভবনে ভোট গ্রহণ শেষে সব ব্যালট বাক্স নেওয়া হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ভোট গণনার সুবিধার্থে ১০০টি করে ব্যালট দিয়ে পৃথক বান্ডেল করা হবে। এ বান্ডেলের ভোট গোনা হবে ওএমআর মেশিনে, যা পর্যবেক্ষণ করবে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। সব মিলিয়ে তিন ধাপে চূড়ান্ত ফল তৈরি হবে। একটি হলের ফল তৈরি শেষে আরেকটির গণনা শুরু হবে। তাতে ২৮৩টি পদের ফল জানাতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।”
এর আগে, সকাল সোয়া ৭টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ শুরু হয়। এ সময় প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে হালনাগাদ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ওএমআরযুক্ত ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালিসহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এবারের রাকসু ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১১টি প্যানেল অংশ নেয়। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়েছেন প্রার্থীদের আরেকটি অংশ। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং স্বতন্ত্র কয়েকজন প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন বলে জরিপ ও শিক্ষার্থীদের আলোচনায় উঠে এসেছে।
রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২৪৭ জন, যার মধ্যে নারী ২৬ জন। সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচটি পদে ৫৮ জন এবং হল সংসদের ১৫টি পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী লড়াই করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এই সংখ্যা রাকসু নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বাধিক।
এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৬ জন। বাকি ২০টি পদে ২০০ জন লড়াই করছেন।
৯টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রের ৯৯০টি বুথে প্রত্যেক ভোটারের রাকসু ও হল সংসদের মোট ৪৩টি পদে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
এবার রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।