ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

জানা গেল কবে হতে পারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০১:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২২৪ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষা ডিসেম্বরের শেষের দিকে শুরু হবে বলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহজানান জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বর শেষের দিকে হবে। গত বছরের মত এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা হয়।

দীর্ঘ বিরতি দিয়ে গত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আবারও পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি শিক্ষাবর্ষেও একই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র।

ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে, মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে। সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে এবং ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।

বিজ্ঞান শাখা, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষা শাখায় বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ এবং প্রত্যেক শাখার জন্য আলাদাভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৫।

বিজ্ঞান, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষায় এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ–এর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৪০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ–এর ৬০শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৬০ নম্বরসহ মোট ২০০ (১০০‍+৪০‍+৬০) নম্বরে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।

ডিগ্রি (পাস) কোর্সে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন সংরক্ষিত থাকবে বিভিন্ন কোটার জন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩টি, আদিবাসী কোটা ১টি, প্রতিবন্ধী কোটা ১টি এবং পোষ্য কোটা ৩টি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জানা গেল কবে হতে পারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

আপডেট সময়ঃ ০১:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষা ডিসেম্বরের শেষের দিকে শুরু হবে বলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহজানান জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বর শেষের দিকে হবে। গত বছরের মত এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা হয়।

দীর্ঘ বিরতি দিয়ে গত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আবারও পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি শিক্ষাবর্ষেও একই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র।

ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে, মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে। সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে এবং ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।

বিজ্ঞান শাখা, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষা শাখায় বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ এবং প্রত্যেক শাখার জন্য আলাদাভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৫।

বিজ্ঞান, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষায় এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ–এর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৪০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ–এর ৬০শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৬০ নম্বরসহ মোট ২০০ (১০০‍+৪০‍+৬০) নম্বরে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।

ডিগ্রি (পাস) কোর্সে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন সংরক্ষিত থাকবে বিভিন্ন কোটার জন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩টি, আদিবাসী কোটা ১টি, প্রতিবন্ধী কোটা ১টি এবং পোষ্য কোটা ৩টি।