ঢাকা, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু ২০ নভেম্বর, নির্ধারিত নতুন দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:১৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ৬ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা। এই সিদ্ধান্ত রোববার (৯ নভেম্বর) খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় নেয়া হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, আগামী ২০ নভেম্বর থেকে সারাদেশে সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে এবং ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। গত বছরের তুলনায় এবার ধান-চালের দাম কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। “আমন ধানের উৎপাদন খরচ বোরোর তুলনায় কম। বৃষ্টি থাকায় সেচের খরচ কম হয়, আবার কখনও লাগে না। এ কারণে কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে,” বলেন ড. সালেহউদ্দিন।

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “আমরা এ বছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ৬ লাখ সেদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রার বেশি সংগ্রহ করতে পারবো। গত বোরো মৌসুমে আমরা লক্ষ্য অতিক্রম করেছি, তাই এবারও আশাবাদী।”

তিনি আরও বলেন, সরকার চায় কৃষক তার উৎপাদিত ধান সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে পারে। ধান বিক্রি না করতে পারলে চাতালের লোকজন কম দামে কিনে নেয়। এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে বছরে ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হয়। টিসিবি ও ওএসএসের মাধ্যমে আরও ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ খাদ্য সহায়তা পায়। জেলে পরিবারদের জন্য বিশেষ ভিজিএফ ব্যবস্থা রয়েছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “চালের দাম সহনীয় রয়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে। খাদ্য পরিস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক। সেদ্ধ চাল আমদানি ও বেসরকারি খাতের আমদানি মিলিয়ে দাম স্থিতিশীল রাখা হয়েছে।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু ২০ নভেম্বর, নির্ধারিত নতুন দাম

আপডেট সময়ঃ ০৫:১৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ৬ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা। এই সিদ্ধান্ত রোববার (৯ নভেম্বর) খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় নেয়া হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, আগামী ২০ নভেম্বর থেকে সারাদেশে সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে এবং ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। গত বছরের তুলনায় এবার ধান-চালের দাম কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। “আমন ধানের উৎপাদন খরচ বোরোর তুলনায় কম। বৃষ্টি থাকায় সেচের খরচ কম হয়, আবার কখনও লাগে না। এ কারণে কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে,” বলেন ড. সালেহউদ্দিন।

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “আমরা এ বছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ৬ লাখ সেদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রার বেশি সংগ্রহ করতে পারবো। গত বোরো মৌসুমে আমরা লক্ষ্য অতিক্রম করেছি, তাই এবারও আশাবাদী।”

তিনি আরও বলেন, সরকার চায় কৃষক তার উৎপাদিত ধান সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে পারে। ধান বিক্রি না করতে পারলে চাতালের লোকজন কম দামে কিনে নেয়। এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে বছরে ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হয়। টিসিবি ও ওএসএসের মাধ্যমে আরও ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ খাদ্য সহায়তা পায়। জেলে পরিবারদের জন্য বিশেষ ভিজিএফ ব্যবস্থা রয়েছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “চালের দাম সহনীয় রয়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে। খাদ্য পরিস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক। সেদ্ধ চাল আমদানি ও বেসরকারি খাতের আমদানি মিলিয়ে দাম স্থিতিশীল রাখা হয়েছে।”