ঢাকা, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে নৌকাডুবি, ৪ লাশ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:১০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসী বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে চারজন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে রোববার (১৬ নভেম্বর) প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা যায়।

উপকূলীয় শহর আল খুমস রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার পূর্বে। এখানেই বৃহস্পতিবার রাতে দুটি নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট জানায়, প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় নৌকাটিতে ৬৯ জন অভিবাসী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে দুজন মিশরীয় এবং বেশ কয়েকজন সুদানি নাগরিক। নৌকাটিতে থাকা আট শিশুর অবস্থাও স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি সংস্থাটি।

নৌকাডুবির পরপরই লিবিয়ার কোস্টগার্ড ও আল খুমস বন্দর নিরাপত্তা সংস্থা উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। রেড ক্রিসেন্টের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কালো ব্যাগে মোড়ানো মরদেহগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। অন্য ছবিতে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের কম্বল জড়িয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে দেখা যায় স্বেচ্ছাসেবকদের। রেড ক্রিসেন্টের ভাষ্য, শহরের সরকারি কৌঁসুলির নির্দেশে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

লিবিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপমুখী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুট। ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর দেশটিতে চলমান অস্থিরতার সুযোগে মানবপাচার ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসন আরও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম গত বুধবার জানিয়েছে, আল বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে একটি রাবারের নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৪২ অভিবাসী নিখোঁজ হয়েছেন এবং সবাই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূলে ৬১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে লিবিয়া উপকূলে ৭৫ সুদানি শরণার্থী বহনকারী আরেকটি নৌকায় আগুন লাগার ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন প্রাণ হারান।

জাতিসংঘের এক বৈঠকে গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, স্পেন, নরওয়ে ও সিয়েরা লিওনসহ কয়েকটি দেশ লিবিয়াকে তাদের আটককেন্দ্রগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, এসব কেন্দ্রে অভিবাসীদের ওপর নির্যাতন, সহিংসতা থেকে শুরু করে কখনো কখনো হত্যাকার্য পর্যন্ত ঘটে থাকে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে নৌকাডুবি, ৪ লাশ উদ্ধার

আপডেট সময়ঃ ০৪:১০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

অভিবাসী বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে চারজন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে রোববার (১৬ নভেম্বর) প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা যায়।

উপকূলীয় শহর আল খুমস রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার পূর্বে। এখানেই বৃহস্পতিবার রাতে দুটি নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট জানায়, প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় নৌকাটিতে ৬৯ জন অভিবাসী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে দুজন মিশরীয় এবং বেশ কয়েকজন সুদানি নাগরিক। নৌকাটিতে থাকা আট শিশুর অবস্থাও স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি সংস্থাটি।

নৌকাডুবির পরপরই লিবিয়ার কোস্টগার্ড ও আল খুমস বন্দর নিরাপত্তা সংস্থা উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। রেড ক্রিসেন্টের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কালো ব্যাগে মোড়ানো মরদেহগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। অন্য ছবিতে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের কম্বল জড়িয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে দেখা যায় স্বেচ্ছাসেবকদের। রেড ক্রিসেন্টের ভাষ্য, শহরের সরকারি কৌঁসুলির নির্দেশে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

লিবিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপমুখী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুট। ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর দেশটিতে চলমান অস্থিরতার সুযোগে মানবপাচার ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসন আরও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম গত বুধবার জানিয়েছে, আল বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে একটি রাবারের নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৪২ অভিবাসী নিখোঁজ হয়েছেন এবং সবাই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূলে ৬১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে লিবিয়া উপকূলে ৭৫ সুদানি শরণার্থী বহনকারী আরেকটি নৌকায় আগুন লাগার ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন প্রাণ হারান।

জাতিসংঘের এক বৈঠকে গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, স্পেন, নরওয়ে ও সিয়েরা লিওনসহ কয়েকটি দেশ লিবিয়াকে তাদের আটককেন্দ্রগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, এসব কেন্দ্রে অভিবাসীদের ওপর নির্যাতন, সহিংসতা থেকে শুরু করে কখনো কখনো হত্যাকার্য পর্যন্ত ঘটে থাকে।