ঢাকা, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৭০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০২:০১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ক্রান্তীয় ঝড়ের সঙ্গে বয়ে আসা ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও ধ্বংসাত্মক বন্যায় ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এই দুর্যোগকে ২০০৪ সালের প্রলয়ঙ্করী সুনামির পর দ্বীপটিতে হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই ব্যাপক দুর্যোগের জন্য দেশটির অনেকেই নির্বিচার বন উজাড়কে দায়ী করছেন। সুমাত্রার স্থানীয় বাসিন্দা রেলিওয়াতি সিরেগার তার বাড়ির আশপাশে বন উজাড়ের জন্য রাগতভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ছবি: রয়টার্স

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা তাপানুলিতে তার বাড়ির কাছে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সিরেগার বলেন, ‘দুষ্ট হাতগুলো গাছ কেটে নিয়েছে। তারা বনের বিষয়গুলোকে তোয়াক্কা করে না। আর এখন আমরা তার মূল্য দিচ্ছি।’

সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া মোট মৃত্যুর চার ভাগের একভাগ এই তাপানুলিতেই হয়েছে। সিরেগার জানান, ভূমিধসে বাড়িগুলো চাপা পড়েছে আর উদ্ধার ও ত্রাণ প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে বন্যার পানি উপকূলের দিকে বহু গাছের গুড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

৬২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বিরক্তি চেপে রাখতে না পেরে উচ্চস্বরে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বন্যা হয়েছে, কিন্তু এর পক্ষে এতো পরিমাণ কাঠ ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। বৃষ্টির ফোঁটার কারণে গাছ উপড়ে পড়ে না।’

সূত্র: রয়টার্স

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৭০০

আপডেট সময়ঃ ০২:০১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ক্রান্তীয় ঝড়ের সঙ্গে বয়ে আসা ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও ধ্বংসাত্মক বন্যায় ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এই দুর্যোগকে ২০০৪ সালের প্রলয়ঙ্করী সুনামির পর দ্বীপটিতে হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই ব্যাপক দুর্যোগের জন্য দেশটির অনেকেই নির্বিচার বন উজাড়কে দায়ী করছেন। সুমাত্রার স্থানীয় বাসিন্দা রেলিওয়াতি সিরেগার তার বাড়ির আশপাশে বন উজাড়ের জন্য রাগতভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ছবি: রয়টার্স

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা তাপানুলিতে তার বাড়ির কাছে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সিরেগার বলেন, ‘দুষ্ট হাতগুলো গাছ কেটে নিয়েছে। তারা বনের বিষয়গুলোকে তোয়াক্কা করে না। আর এখন আমরা তার মূল্য দিচ্ছি।’

সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া মোট মৃত্যুর চার ভাগের একভাগ এই তাপানুলিতেই হয়েছে। সিরেগার জানান, ভূমিধসে বাড়িগুলো চাপা পড়েছে আর উদ্ধার ও ত্রাণ প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে বন্যার পানি উপকূলের দিকে বহু গাছের গুড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

৬২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বিরক্তি চেপে রাখতে না পেরে উচ্চস্বরে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বন্যা হয়েছে, কিন্তু এর পক্ষে এতো পরিমাণ কাঠ ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। বৃষ্টির ফোঁটার কারণে গাছ উপড়ে পড়ে না।’

সূত্র: রয়টার্স