১০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

কথায় নয়, কাজ করে নোয়াখালী পৌরসভাকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখাতে চাই

মোঃ ইসমাইল হোসেন :
লুৎফুল হায়দার লেনিন । যিনি ৯০ দশকের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্যাগী,সংগ্রামী তুখোড় ছাত্রনেতা ও বর্তমান নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব । লুৎফুল হায়দার লেনিনের পিতা মোহাম্মদ আলী হায়দার ছিলেন নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। বর্তমানে তিনিও চাকরি থেকে অবসরে আছেন। শিক্ষিত পিতার সব ছেলে-মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করবে,এমন টাই স্বপ্ন ছিলো অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী হায়দারের। অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী হায়দারের সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মেধাবী আর চৌকস ছিলেন ঢাকা কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগে এম.এ পাস করা লুৎফুল হায়দার লেনিন ।
পিতার মতো করে দেশের একজন সেবক হয়ে জীবন কাটিয়ে দেওয়ার অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন জীবন গড়ার পথে । আর সেই চলার পথে মেধাবী এবং চৌকস ছাত্র লুৎফুল হায়দার লেনিনের চোখে স্বপ্ন জাগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী,সমর্থক হওয়ার। যেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেই ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন । লুৎফুল হায়দার লেনিন ছাত্রলীগে যোগদানের এক বছরের মাথায় সংগঠনের প্রতি তার দায়িত্ববোধ,কর্তব্য ও সততার সহিত নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার অদম্য এক ইচ্ছা শক্তি দেখে তৎকালীন দায়িত্ব প্রাপ্ত বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তাকে ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন । তারপর ১৯৯০ দশকে ঘটে যাওয়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সেই স্বৈরাচার আন্দোলনে দল ও দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েন । ১৯৯০ দশকের সেই স্বৈরাচারী আন্দোলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সহ দেশের সকল সাধারণ জনগণের জীবনমান রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের কপালে জুটে ডজন ডজন মামলা আর প্রতিনিয়ত শিকার বিভিন্ন হামলার । সেই মামলা হামলা থেকে বাদ যায়নি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ত্যাগী,সংগ্রামী ও তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা লুৎফুল হায়দার লেনিনও । তার কপালেও জুটে ছিলো প্রায় ১০ টি মামলা,ভোগ করতে হয়েছিলো তিন মাসের জেল ।
তিন মাসের কারাভোগ শেষে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সরকারি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে চলে আসেন জন্মস্থল নোয়াখালীতে । কারাভোগের পরে যেনো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতি আরো বেশি ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যান লুৎফুল হায়দার লেনিন । যার প্রমাণ স্বরূপ বলা যায়,লুৎফুল হায়দার লেনিন নোয়াখালীতে ফিরে আসার পরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াত এর শাসনামলে ছিলো,তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রক্ষায়,বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে রক্ষায় এবং দেশের সাধারণ মানুষকে রক্ষায় বিএনপি-জামায়াতের সকল অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে বুক ফুলিয়ে নোয়াখালীর মাটিতে রুখে দাঁড়ায় এই লুৎফুল হায়দার লেনিন । শুধুমাত্র বিএনপি-জামায়াতের তৎকালীন অপরাজনীতি আর তাদের হাতে শাসনের নামে শোষিত হওয়া সাধারণ মানুষদের রক্ষা করার জন্যই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তেন লুৎফুল হায়দার লেনিন । বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যেনো লুৎফুল হায়দার লেনিন কোনো আন্দোলন গড়ে না তোলে,সেজন্য তাকে দেওয়া হতো একের পর এক লোভনীয় প্রস্তাব । কিন্তু সব লোভ-লালসাকে দূরে ঠেলে দিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সহিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকা বহন করে দূর্বার গতিতে এগিয়ে গেলেন লুৎফুল হায়দার লেনিন । ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের বিরোধিতা করায় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিলো দলের জন্য নিবেদিত এই ত্যাগী,সংগ্রামী ও তুখোড় ছাত্রলীগ নেতাকে । পড়তে হয়েছিলো নতুন করে ২০ টিরও বেশি মামলায় । তারপরেও নিজ দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে বিন্দু পরিমাণ পিছ পা হননি ।
২০১৯ সালে যখন বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় নিস্তব্ধ হয়ে গিয়ে ছিলো,দেশে দেশে খাবারের সংকট,ওষুধের সংকট দেখা দিয়ে ছিলো, তখন আমাদের সোনার বাংলাদেশের অবস্থাটাও কিছুটা একই রকম হয়েছিল । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার কারণে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের থেকেও অনেক ভালো ভাবে করোনা কালীন সময় মোকাবেলা করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সরকার । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নোয়াখালী-৪ সদর-সূবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে নোয়াখালী সদর উপজেলার এমন কোনো গ্রাম থেকে ইউনিয়ন বাদ যায়নি,যেখানে লুৎফুল হায়দার লেনিনের করোনা কালীন খাদ্য সামগ্রী উপহার পৌঁছায় নি । করোনা কালীন সময়ে চাকরি হারিয়ে পথে বসা অনেক মেধাবী,কর্মঠ তরুণকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া,অসহায় গরীব,দুঃখী মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়ে আসা,করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ রিকশা চালক,ভ্যানচালক,ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন মানুষকে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ থেকে নগদ অর্থ প্রদান করা ছিলো লুৎফুল হায়দার লেনিনের নিত্য দিনের কাজ ।
নোয়াখালী সদর উপজেলার মানুষের কাছে রীতিমতো গরীবের বন্ধু নামে খ্যাতি অর্জন করে সর্ব মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছেন লুৎফুল হায়দার লেনিন । লুৎফুল হায়দার লেনিন দেখিয়ে দিলেন,ক্ষমতার চেয়ারে না থাকলেও,শুধুমাত্র মানুষের উপকার করার প্রবল ইচ্ছে থাকলে,সেটা যেকোনো জায়গায় থেকেই করা সম্ভব । আর তাই নোয়াখালী পৌরসভা বাসীর এখন একটাই প্রাণের দাবী,যে মানুষ কখনো কারো থেকে দুই টা নেয়নি,যে মানুষ সব সময় এলাকার সবার সুখে,দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবার আগে এগিয়ে আসে,যার কাছে ক্ষমতার কোনো দাম্ভীকতা নেই,যার হৃদয়ে মানুষের জন্য রয়েছে অপূরনীয় ভালোবাসা আর দয়া,সেই লুৎফুল হায়দার লেনিন কে আসন্ন নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বসিয়ে তার যোগ্য দায়িত্ব ও মর্যাদায় তাকে অধিষ্ঠিত করা । লুৎফুল হায়দার লেনিন সম্পর্কে পৌরবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,যে ঘরের পিতা-মাতা শিক্ষিত হয়,সেই ঘর এমনিতেই আলোকিত হয় । লুৎফুল হায়দার লেনিন এমন একজন মানুষ,যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ শিক্ষা,ভ্রাতৃত্ববোধ,দেশপ্রেম,সমাজের সকল সাধারণ মানুষকে নিয়ে একসাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলার প্রবল ইচ্ছে শক্তি,যার প্রতি রয়েছে পৌরবাসীর অগাধ বিশ্বাস আর ভালোবাসা,যার উপরে রয়েছে হাজার হাজার গরীব অসহায় মানুষের দোয়া,তার মতো(লুৎফুল হায়দার লেনিন) একজনের হাতেই আমাদের নোয়াখালী পৌরসভার দায়িত্ব আমরা সাধারণ জনগণ অর্পণ করতে চাই ।
নোয়াখালী পৌরসভার জনগণের এমন প্রত্যাশা পূরণে সর্ব মহলের সকলের দোয়া,ভালোবাসা চেয়েছেন গরীবের বন্ধু লুৎফুল হায়দার লেনিন । তিনি বলেন,আমাদের দেশনেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে আমার সারা জীবনের কষ্টের সুফল হিসেবে নৌকা প্রতীক দান করেন,তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে,আমি আমাদের নোয়াখালীর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আন্তরিক সহযোগিতায় ও ভালোবাসায়,আমার অভিভাবক,নোয়াখালী মাটি ও মানুষের নেতা,নোয়াখালী -৪ (সদর সূবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে নোয়াখালীর যে উন্নয়ন এখন সারা দেশের মানুষের সামনে দৃশ্যমান,সেই উন্নয়নের ধারাকে আরো দূর থেকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ ।
লুৎফুল হায়দার লেনিন আরো বলেন, দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে, ইতিহাস ঐতিহ্য ভরপুর আমাদের এই নোয়াখালী পৌরসভা । কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো,ঐতিহ্যবাহী এই নোয়াখালী পৌরসভার দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন বর্তমান মেয়র দেখাতে পারেনি । তাই আমি আমার প্রাণের পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে স্বচ্ছ,জবাবদিহিতা মূলক,দূর্নীতিমুক্ত,মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত জনবান্ধব একটি উন্নয়নশীল পৌরসভা বির্নিমাণ করবো ইনশাআল্লাহ । আর তাই আমি (লুৎফুল হায়দার লেনিন) আসন্ন আগামী পৌরসভা নির্বাচনে শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত পৌরবাসীর নিকট দোয়া,ভালোবাসা এবং সকলের মূল্যবান সমর্থন কামনা করছি ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগাড়সহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

কথায় নয়, কাজ করে নোয়াখালী পৌরসভাকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখাতে চাই

আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১

মোঃ ইসমাইল হোসেন :
লুৎফুল হায়দার লেনিন । যিনি ৯০ দশকের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্যাগী,সংগ্রামী তুখোড় ছাত্রনেতা ও বর্তমান নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব । লুৎফুল হায়দার লেনিনের পিতা মোহাম্মদ আলী হায়দার ছিলেন নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। বর্তমানে তিনিও চাকরি থেকে অবসরে আছেন। শিক্ষিত পিতার সব ছেলে-মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করবে,এমন টাই স্বপ্ন ছিলো অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী হায়দারের। অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী হায়দারের সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মেধাবী আর চৌকস ছিলেন ঢাকা কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগে এম.এ পাস করা লুৎফুল হায়দার লেনিন ।
পিতার মতো করে দেশের একজন সেবক হয়ে জীবন কাটিয়ে দেওয়ার অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন জীবন গড়ার পথে । আর সেই চলার পথে মেধাবী এবং চৌকস ছাত্র লুৎফুল হায়দার লেনিনের চোখে স্বপ্ন জাগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী,সমর্থক হওয়ার। যেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেই ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন । লুৎফুল হায়দার লেনিন ছাত্রলীগে যোগদানের এক বছরের মাথায় সংগঠনের প্রতি তার দায়িত্ববোধ,কর্তব্য ও সততার সহিত নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার অদম্য এক ইচ্ছা শক্তি দেখে তৎকালীন দায়িত্ব প্রাপ্ত বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তাকে ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন । তারপর ১৯৯০ দশকে ঘটে যাওয়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সেই স্বৈরাচার আন্দোলনে দল ও দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েন । ১৯৯০ দশকের সেই স্বৈরাচারী আন্দোলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সহ দেশের সকল সাধারণ জনগণের জীবনমান রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের কপালে জুটে ডজন ডজন মামলা আর প্রতিনিয়ত শিকার বিভিন্ন হামলার । সেই মামলা হামলা থেকে বাদ যায়নি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ত্যাগী,সংগ্রামী ও তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা লুৎফুল হায়দার লেনিনও । তার কপালেও জুটে ছিলো প্রায় ১০ টি মামলা,ভোগ করতে হয়েছিলো তিন মাসের জেল ।
তিন মাসের কারাভোগ শেষে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সরকারি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে চলে আসেন জন্মস্থল নোয়াখালীতে । কারাভোগের পরে যেনো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতি আরো বেশি ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যান লুৎফুল হায়দার লেনিন । যার প্রমাণ স্বরূপ বলা যায়,লুৎফুল হায়দার লেনিন নোয়াখালীতে ফিরে আসার পরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াত এর শাসনামলে ছিলো,তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রক্ষায়,বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে রক্ষায় এবং দেশের সাধারণ মানুষকে রক্ষায় বিএনপি-জামায়াতের সকল অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে বুক ফুলিয়ে নোয়াখালীর মাটিতে রুখে দাঁড়ায় এই লুৎফুল হায়দার লেনিন । শুধুমাত্র বিএনপি-জামায়াতের তৎকালীন অপরাজনীতি আর তাদের হাতে শাসনের নামে শোষিত হওয়া সাধারণ মানুষদের রক্ষা করার জন্যই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তেন লুৎফুল হায়দার লেনিন । বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যেনো লুৎফুল হায়দার লেনিন কোনো আন্দোলন গড়ে না তোলে,সেজন্য তাকে দেওয়া হতো একের পর এক লোভনীয় প্রস্তাব । কিন্তু সব লোভ-লালসাকে দূরে ঠেলে দিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সহিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকা বহন করে দূর্বার গতিতে এগিয়ে গেলেন লুৎফুল হায়দার লেনিন । ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের বিরোধিতা করায় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিলো দলের জন্য নিবেদিত এই ত্যাগী,সংগ্রামী ও তুখোড় ছাত্রলীগ নেতাকে । পড়তে হয়েছিলো নতুন করে ২০ টিরও বেশি মামলায় । তারপরেও নিজ দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে বিন্দু পরিমাণ পিছ পা হননি ।
২০১৯ সালে যখন বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় নিস্তব্ধ হয়ে গিয়ে ছিলো,দেশে দেশে খাবারের সংকট,ওষুধের সংকট দেখা দিয়ে ছিলো, তখন আমাদের সোনার বাংলাদেশের অবস্থাটাও কিছুটা একই রকম হয়েছিল । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার কারণে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের থেকেও অনেক ভালো ভাবে করোনা কালীন সময় মোকাবেলা করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সরকার । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নোয়াখালী-৪ সদর-সূবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে নোয়াখালী সদর উপজেলার এমন কোনো গ্রাম থেকে ইউনিয়ন বাদ যায়নি,যেখানে লুৎফুল হায়দার লেনিনের করোনা কালীন খাদ্য সামগ্রী উপহার পৌঁছায় নি । করোনা কালীন সময়ে চাকরি হারিয়ে পথে বসা অনেক মেধাবী,কর্মঠ তরুণকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া,অসহায় গরীব,দুঃখী মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়ে আসা,করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ রিকশা চালক,ভ্যানচালক,ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন মানুষকে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ থেকে নগদ অর্থ প্রদান করা ছিলো লুৎফুল হায়দার লেনিনের নিত্য দিনের কাজ ।
নোয়াখালী সদর উপজেলার মানুষের কাছে রীতিমতো গরীবের বন্ধু নামে খ্যাতি অর্জন করে সর্ব মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছেন লুৎফুল হায়দার লেনিন । লুৎফুল হায়দার লেনিন দেখিয়ে দিলেন,ক্ষমতার চেয়ারে না থাকলেও,শুধুমাত্র মানুষের উপকার করার প্রবল ইচ্ছে থাকলে,সেটা যেকোনো জায়গায় থেকেই করা সম্ভব । আর তাই নোয়াখালী পৌরসভা বাসীর এখন একটাই প্রাণের দাবী,যে মানুষ কখনো কারো থেকে দুই টা নেয়নি,যে মানুষ সব সময় এলাকার সবার সুখে,দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবার আগে এগিয়ে আসে,যার কাছে ক্ষমতার কোনো দাম্ভীকতা নেই,যার হৃদয়ে মানুষের জন্য রয়েছে অপূরনীয় ভালোবাসা আর দয়া,সেই লুৎফুল হায়দার লেনিন কে আসন্ন নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বসিয়ে তার যোগ্য দায়িত্ব ও মর্যাদায় তাকে অধিষ্ঠিত করা । লুৎফুল হায়দার লেনিন সম্পর্কে পৌরবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,যে ঘরের পিতা-মাতা শিক্ষিত হয়,সেই ঘর এমনিতেই আলোকিত হয় । লুৎফুল হায়দার লেনিন এমন একজন মানুষ,যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ শিক্ষা,ভ্রাতৃত্ববোধ,দেশপ্রেম,সমাজের সকল সাধারণ মানুষকে নিয়ে একসাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলার প্রবল ইচ্ছে শক্তি,যার প্রতি রয়েছে পৌরবাসীর অগাধ বিশ্বাস আর ভালোবাসা,যার উপরে রয়েছে হাজার হাজার গরীব অসহায় মানুষের দোয়া,তার মতো(লুৎফুল হায়দার লেনিন) একজনের হাতেই আমাদের নোয়াখালী পৌরসভার দায়িত্ব আমরা সাধারণ জনগণ অর্পণ করতে চাই ।
নোয়াখালী পৌরসভার জনগণের এমন প্রত্যাশা পূরণে সর্ব মহলের সকলের দোয়া,ভালোবাসা চেয়েছেন গরীবের বন্ধু লুৎফুল হায়দার লেনিন । তিনি বলেন,আমাদের দেশনেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে আমার সারা জীবনের কষ্টের সুফল হিসেবে নৌকা প্রতীক দান করেন,তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে,আমি আমাদের নোয়াখালীর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আন্তরিক সহযোগিতায় ও ভালোবাসায়,আমার অভিভাবক,নোয়াখালী মাটি ও মানুষের নেতা,নোয়াখালী -৪ (সদর সূবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে নোয়াখালীর যে উন্নয়ন এখন সারা দেশের মানুষের সামনে দৃশ্যমান,সেই উন্নয়নের ধারাকে আরো দূর থেকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ ।
লুৎফুল হায়দার লেনিন আরো বলেন, দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে, ইতিহাস ঐতিহ্য ভরপুর আমাদের এই নোয়াখালী পৌরসভা । কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো,ঐতিহ্যবাহী এই নোয়াখালী পৌরসভার দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন বর্তমান মেয়র দেখাতে পারেনি । তাই আমি আমার প্রাণের পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে স্বচ্ছ,জবাবদিহিতা মূলক,দূর্নীতিমুক্ত,মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত জনবান্ধব একটি উন্নয়নশীল পৌরসভা বির্নিমাণ করবো ইনশাআল্লাহ । আর তাই আমি (লুৎফুল হায়দার লেনিন) আসন্ন আগামী পৌরসভা নির্বাচনে শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত পৌরবাসীর নিকট দোয়া,ভালোবাসা এবং সকলের মূল্যবান সমর্থন কামনা করছি ।