০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

অন্ত:সত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফেনীতে স্বামীর ফাঁসি

ফেনী জেলা প্রতিনিধি, ২১ নভেম্বর ২০২১ :
আলোচিত ফেনীর ফাজিলপুরে অন্ত:সত্বা গৃহবধুকে বৈদ্যুতিক শকট দিয়ে হত্যা মামলায় স্বামী মো. এয়াছিনের ফাঁসির দন্ড ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (২১নভেম্বর) দুপুর ১টার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আসামীর উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আসামীকে মৃত্যু দন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবপুর গ্রামের জাফর সর্দার বাড়ির মোস্তফার মেয়ে শিরিন আক্তারের সাথে বিয়ে হয় একই এলাকার আহসান উল্লাহর ছেলে মো. এয়াছিনের সাথে। বিয়ের পর পারিবারিক কলহের জের ধরে সংসারে সব সময় বিবাধ লেগেই থাকতো। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ ২ মাসের অন্ত:সত্বা অবস্থায় গৃহবধু শিরিনকে বৈদ্যুতিক শক লাগিয়ে হত্যার করা হয়। ৭ মার্চ এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় গৃহবধুর মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে ৩ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু তাহের প্রধান আসামী এয়াছিনকে গ্রেফতার করার পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি করা হয়। পরে বিগত বছরের ১৮ জানুয়ারী এ মামলায় গৃহবধুর স্বামী এয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয়া হয়। আদালত এ ঘটনায় ৮ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রবিবার রায় ঘোষণা করেছে। আদালতের ব্যাঞ্চ সহকারী মো. আলতাফ হোসেন জানান, রায় ঘোষণাকালে আসামী মো. এয়াছিন কাঠগড়ায় দাড়ানো ছিলো। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রায়ে আসামীকে মৃত্যু দন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড দেয়া হয়েছে। আসামী পক্ষের আইনজীবী আবদুস ছাত্তার জনান, রায়ে আসামীর উপর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা রায়ের কপি নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, আসামী নিজেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধিতে নিজেই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন। এছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ দন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।
মামলার বাদী গৃহবুধু শিরিন আখতারের মা রোজিনা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আদালতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন একটাই চাওয়া ফাঁসিনা যেন দ্রুত কার্যকর হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগাড়সহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

অন্ত:সত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফেনীতে স্বামীর ফাঁসি

আপডেট সময়ঃ ০৯:৪৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১

ফেনী জেলা প্রতিনিধি, ২১ নভেম্বর ২০২১ :
আলোচিত ফেনীর ফাজিলপুরে অন্ত:সত্বা গৃহবধুকে বৈদ্যুতিক শকট দিয়ে হত্যা মামলায় স্বামী মো. এয়াছিনের ফাঁসির দন্ড ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (২১নভেম্বর) দুপুর ১টার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আসামীর উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আসামীকে মৃত্যু দন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবপুর গ্রামের জাফর সর্দার বাড়ির মোস্তফার মেয়ে শিরিন আক্তারের সাথে বিয়ে হয় একই এলাকার আহসান উল্লাহর ছেলে মো. এয়াছিনের সাথে। বিয়ের পর পারিবারিক কলহের জের ধরে সংসারে সব সময় বিবাধ লেগেই থাকতো। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ ২ মাসের অন্ত:সত্বা অবস্থায় গৃহবধু শিরিনকে বৈদ্যুতিক শক লাগিয়ে হত্যার করা হয়। ৭ মার্চ এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় গৃহবধুর মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে ৩ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু তাহের প্রধান আসামী এয়াছিনকে গ্রেফতার করার পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি করা হয়। পরে বিগত বছরের ১৮ জানুয়ারী এ মামলায় গৃহবধুর স্বামী এয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয়া হয়। আদালত এ ঘটনায় ৮ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রবিবার রায় ঘোষণা করেছে। আদালতের ব্যাঞ্চ সহকারী মো. আলতাফ হোসেন জানান, রায় ঘোষণাকালে আসামী মো. এয়াছিন কাঠগড়ায় দাড়ানো ছিলো। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রায়ে আসামীকে মৃত্যু দন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড দেয়া হয়েছে। আসামী পক্ষের আইনজীবী আবদুস ছাত্তার জনান, রায়ে আসামীর উপর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা রায়ের কপি নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, আসামী নিজেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধিতে নিজেই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন। এছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ দন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।
মামলার বাদী গৃহবুধু শিরিন আখতারের মা রোজিনা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আদালতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন একটাই চাওয়া ফাঁসিনা যেন দ্রুত কার্যকর হয়।