• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার ‘মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স’ আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করা হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী নৌকা-জাল মেরামতে ব্যস্ত, নদীতে নামার অপেক্ষায় জেলেরা বান্দরবানে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে সাংবাদিকবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কৃত্রিম বৃষ্টিতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক বিএনপির ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই: কাদের

বিএনপির কেন্দ্রীয় বেশিরভাগ নেতাই মিথ্যাচার করেন: তথ্যমন্ত্রী

Reporter Name / ৯৪ Time View
Update : সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপি আর কিছুই পারেন না। রাজনৈতিকভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মিথ্যা বলায় অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও একে অপরকে টপকাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় বেশিরভাগ নেতাই মিথ্যাচার করেন। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ক্ষমতায় আনা হবে। অর্থ দিয়ে রাজনীতি কেনা যাবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা শ্রম, মেধা ও ত্যাগ দিয়ে রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছেন তাদেরকেই ক্ষমতায় আনা হবে, নেতা নির্বাচন করা হবে। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আজ সোমবার দুপুরে বিশেষ অতিথি ও বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা এখন বিশ্ব নেতারাও করেন। তারা দেশে এসে সবাই শেখ হাসিনার প্রশংসা করে গিয়েছেন। কারণ তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখেন কিন্তু বিএনপি দেখে না এবং তারাই শুধু প্রশংসা করেন না। আরও একটি পক্ষ আছে যাদের সারাদিন দেখা যায় না কিন্তু মাঝরাতে টিভির পর্দায় দেখা যায় না।’ বিএনপি নির্বাচনের নাম শুনলেই ভয় পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তাই তারা নির্বাচন চান না। তাই তারা নির্বাচন ছাড়া মির্জা ফখরুলকে ক্ষমতায় আনতে চায়।’ বিএনপির দু-একজন নেতা নতুন নির্বাচন কমিশন ভালো ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলায় বিএনপির আরও মাথা ঘুরে গেছে। এখন তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে, গুজব ও কুতসা রটানোর চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব রাজনীতিতে পড়ে জানিয়ে নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেন তিনি। শ্রমিকের মূল্য বেড়েছে ও তারা ভালো আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন একজন শ্রমিকের মূল্য দিয়ে তিনি ১২-১৫ কেজি চাল কিনতে পারেন।’ দশে আর কাঙাল নাই উল্লেখ করে বলেন, ‘এখন কেও মারা গেলে কাঙাল ভোজ দিলে এখন আর কোনো কাঙাল আসে না, বড়লোকরাই আসে। দেশে আর কাঙাল খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয় দেশে এখন আর গ্রামাঞ্চলেও আগের দিনের বাসিভাত পাওয়া যায়না। এটিই হলো প্রধানমন্ত্রীর কারিশমা।’ তিনি আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের দাম বড় কথা নয় বরং ক্রয়ক্ষমতা আছে কি না এটিই বড় কথা কারন, যখন এক আনায় দুই কেজি চাল পাওয়া যেতো তখনো মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা গেছেন। কিন্তু এখন মানুষ না খেয়ে মারা যায়না কারণ মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।’ সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সামাদ তালুকদার এর সঞ্চালনায় সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য আবদুর রহমান। সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত আছেন কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সাংসদ প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস। সম্মানিত বক্তা হিসেবে উপস্থিতি আছেন, সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনে সাংসদ তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাংসদ ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও সলঙ্গা আংশিক) আসনের সাংসদ ডা. আবদুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ (চৌহালী-বেলকুচি) আসনের সাংসদ মোমিন ম-ল, সিরাজগঞ্জ-৫ (উল্লাপাড়া) আসনের সাংসদ তানভীর আহমেদ। উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সম্মেলন ঘিরে একদিকে যেমন নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি অন্যদিকে নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে, প্রবীণ ও নতুনের নেতৃত্বে আরও শক্তিশালী হবে সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগ এমনটাই প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক এই সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪ জন, ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। সভাপতি প্রার্থীরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. কে.এম হোসেন আলী হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, দলের সহ-সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জজ কোর্টের পিপি গাজী আবদুর রহমান, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাশ। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ আবদুস ছামাদ তালুকদার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামছুজ্জামান আলো, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ফারুক ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category