ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

পি কে হালদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
  • / ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অপর আসামিরা হলেন, পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদারসহ পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এদিন এ মামলায় পিকে হালদারসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আদালতের দুদক পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলার তদন্তে নেমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা। তবে মামলা দায়েরের আগেই পি কে হালদার পালিয়ে কানাডা চলে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। একই সময়ে তিনি চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) নিজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন। এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলে তা কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার নামে আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেন তিনি। পি কে হালদারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার ৬২ জন সহযোগীর খোঁজ পায় দুদক। পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পি কে হালদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অপর আসামিরা হলেন, পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদারসহ পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এদিন এ মামলায় পিকে হালদারসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আদালতের দুদক পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলার তদন্তে নেমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা। তবে মামলা দায়েরের আগেই পি কে হালদার পালিয়ে কানাডা চলে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। একই সময়ে তিনি চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) নিজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন। এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলে তা কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার নামে আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেন তিনি। পি কে হালদারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার ৬২ জন সহযোগীর খোঁজ পায় দুদক। পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।