ঢাকা, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

বিমসটেক নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:১৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • / ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ ও পশ্চিমা বিশ্বের চলমান রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলা করে নিজেদের পারস্পরিক স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে বিমসটেক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে শুরু হওয়া বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। এদিন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম ‘বিমসটেক’ এর পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সরকারপ্রধান। কোভিড-১৯ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ও পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলা করে সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক লাভের জন্য বিমসটেক ফোরামকে একটি উপযুক্ত হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। ভাষণে তিনি সম্মিলিত প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সাধারণ সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে বিমসটেক সম্মেলনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বিমসটেক ফোরামের ২৫তম বার্ষিকীতে এ অঞ্চলের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক বঙ্গোপসাগর অঞ্চল পুনর্গঠনের জন্য একটি অভিন্ন কৌশল সন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা কলম্বোতে সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেক-এর সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে পাঁচটি দক্ষিণ এশিয়ার। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুটি দেশ হলো- মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। ১৯৯৭ সালে ৬ জুন বাংলাদেশসহ চারটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয় বিমসটেক। বর্তমানে সংস্থাটির বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ এবং শক্তি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিস্তৃত ক্ষেত্র রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিমসটেক নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময়ঃ ০৮:১৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ ও পশ্চিমা বিশ্বের চলমান রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলা করে নিজেদের পারস্পরিক স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে বিমসটেক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে শুরু হওয়া বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। এদিন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম ‘বিমসটেক’ এর পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সরকারপ্রধান। কোভিড-১৯ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ও পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলা করে সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক লাভের জন্য বিমসটেক ফোরামকে একটি উপযুক্ত হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। ভাষণে তিনি সম্মিলিত প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সাধারণ সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে বিমসটেক সম্মেলনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বিমসটেক ফোরামের ২৫তম বার্ষিকীতে এ অঞ্চলের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক বঙ্গোপসাগর অঞ্চল পুনর্গঠনের জন্য একটি অভিন্ন কৌশল সন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা কলম্বোতে সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেক-এর সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে পাঁচটি দক্ষিণ এশিয়ার। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুটি দেশ হলো- মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। ১৯৯৭ সালে ৬ জুন বাংলাদেশসহ চারটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয় বিমসটেক। বর্তমানে সংস্থাটির বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ এবং শক্তি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিস্তৃত ক্ষেত্র রয়েছে।