নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় ১২ কোটি টাকা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) আ হ ম আব্দুল্লা হারুনকে চাকরি হতে অপসারণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সংস্থার মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সই করা এক অফিস আদেশে তাকে চাকরি হতে অপসারণ করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, আ হ ম আব্দুল্লাহ হারুন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) ও নিজ দায়িত্বসহ একই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাজ চালিয়ে নেন। এ দায়িত্বে থাকাকালে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী কাজ না করে ভৌতিক এবং অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে ডিএসসিসি আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। এ ছাড়া তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালীন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ডিপোজিট ওয়ার্কের আওতায় কমলাপুর টিটিপাড়া থেকে দক্ষিণ কদমতলী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রেললাইনের দুই পাশে জমানো বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ অপসারণ এবং ডাম্পিং করার কাজটিকে তিন গ্রুপে ভাগ করে ২৮ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করেন। আহ্বান করা দরপত্রে বিভিন্ন অনিয়ম এবং কাজের পরিধি ও নির্ধারিত ব্যয়ের মাঝে বিস্তর অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়। মোট বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টন। যার মধ্যে বর্জ্যরে পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টন। অবশিষ্ট ১ লাখ ১৫ হাজার টন হবে মাটি ও রাবিশ যা বিক্রয়যোগ্য। অথচ মাটি ও রাবিশ ডাম্পিং বাবদ দরপত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮৮ লখ টাকা। প্রকৃতপক্ষে মাটি ও রাবিশ বিক্রয়যোগ্য হওয়ায় এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনও অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়। দরপত্রের মাধ্যমে সংঘটিত অনিয়ম বিষয়ে দৈনিক পত্রপত্রিকায়ও নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় অনিয়ম, দুর্নীতি এবং করপোরেশন ও জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন উল্লেখ করে আদেশে বলা হয়, ‘তার এমন কর্মকা-ের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আর্থিক ক্ষতিসাধিত হয়েছে এবং ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ণ হয়েছে। তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধি অনুসারে জনস্বার্থ ও করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষার্থে চাকরি হতে অপসারণ করা হলো। এতে আরও বলা হয় তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন প্রাপ্য হবেন। তাকে এ করপোরেশনের হিসাব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে সকল দেনা-পাওনা বুঝে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো এবং অবিলম্বে তা কার্যকর হবে।