• সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
সন্ত্রাস দমন অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি বান্দরবানে সেনা প্রধান বিস্ফোরণের ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় বায়োগ্যাসে ঝুঁকছে গ্রাহকরা রেল দুর্ঘটনা রোধে সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ‘পেশাদার’ ও ‘রাজনৈতিক’ সমালোচকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর পৃথক বার্তা বছরে তৈরি হচ্ছে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য, পরিবেশে মিশছে ৬০% বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ: নিহত ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের স্মরণ সহকর্মীদের যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতে ১০ সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে : ইসি নীলফামারীতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মাণ হচ্ছে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ বান্দরবানে প্রায় সাড়ে ৩কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস সংসদীয় আসনগুলোর চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ, ১০টিতে পরিবর্তন

অবৈধ ইটভাটা ভাঙার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে পারবেন না মালিকরা

Reporter Name / ৭৫ Time View
Update : বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অঙ্গীকারনামা দিয়ে মামলায় পক্ষভুক্ত হলো ইটভাটা মালিক সমিতি। অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলার আদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে আন্ডারটেকেন (অঙ্গীকারনামা) দাখিলের মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছে সমিতিটি। রিট মামলায় অন্তর্ভুক্তি চেয়ে সমিতির আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সমিতির আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। অন্যদিকে রিটকারির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাভোকেট মনজিল মোরসেদ। গত ১ মার্চ রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের ৫ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন হাইকোর্ট। বাকি চারটি জেলা হলোÑ গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ। আদালতে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে অ্যাভোকেট মো. শাহজাহান ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে সিনিয়র অ্যাভোকেট সাইদ আহেমেদ এবং ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের পক্ষে অ্যাভোকেট মো. মনিরুজ্জামান শুনানিতে ছিলেন। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী পাঁচ জেলার ৩১৯টি অবৈধ ইটভাটার তথ্য হাইকোর্টকে জানান পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ। ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। এরপর ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কয়েকদফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়েকটি নির্দেশনা দেন। সেগুলো হলোÑ বিশেষজ্ঞ কমিটি হঠন হওয়ার পর তাদের মতামত বিবেচনা করে বায়ুদূষণ রোধে ঢাকায় নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালি/বর্জ্য ঢেকে রাখা, সিটি করপোরেশন কর্তৃক রাস্তায় পানি ছিটানো, রাস্তা খোঁড়ার কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা, কালো ধোঁয়াবাহী যান জব্দ করা ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা। সেসসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন দাখিল করা হয়। ওই আবেদনের সঙ্গে ঢাকার বর্তমান দূষণের মাত্রার সর্বোচ্চ পর্যায়ের অবস্থান ও অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা সম্পর্কে মিডিয়ার সংবাদ সংযুক্ত করে ৪ দফা নির্দেশনা চাওয়া হয়। আদালতের দেওয়া একাধিক নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না থাকায় ৫ জেলার জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার তালিকা দাখিলেরও নির্দেশ দেন। সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় ডিসি ও তাদের প্রতিনিধিরা আদালতে যুক্ত হয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category