নিজস্ব প্রতিবেদক :
কারও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, কারও হাতে দেশীয় অস্ত্র। কিছুক্ষণ পরপর আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোঁড়া হয় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি। একইসঙ্গে ছোঁড়া হয় ইট-পাথরও। গত বুধবার সদলবলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের (৬০) এমন মহড়ার দৃশ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গত শুক্রবার এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সিরাজুল হক। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৫০ জনকে। তবে এদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হননি। মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকা আসামিরা হলেন- জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল (৬০), ইনজামামুল হক যুবরাজ (২৬), মো. হানিফ (৪৫), শামসুল হক (৬৫), সাহাব উদ্দিন (৪৬), জামাল উদ্দিন (৩৮), নাছির উদ্দিন (৪৫), মো. মামুন ওরফে জীম মামুন (২৬), হামিদ (২৪), আবু বক্কর ছিদ্দিক রানা (৩২), মো. সেলিম উদ্দিন (৩২) ও মো. রাশেদ (২৮)। এজাহারসূত্রে জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুলসহ আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সিরাজের সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দুপুরের দিকে তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিরাজের জায়গায় এসে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে সিরাজ বাধা দিলে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে আসামিরা একটি বন্দুক থেকে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। একইসঙ্গে মামলার দুই নম্বর আসামি ইনজামামুল হক যুবরাজ তার কোমরে থাকা একটি পিস্তল নিয়ে সিরাজের বসতবাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। সিরাজ দ্রুত দরজা বন্ধ করে দিলে আসামিরা তার বাড়িতে ইট-পাথর ছোড়েন। এরপর ঘটনাস্থল ত্যাগের সময় সিরাজকে আসামিরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে যান। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, গত বুধবারের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলার এজাহারে অস্ত্রের বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও ধারায় উল্লেখ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অস্ত্রটি বৈধ নাকি অবৈধ তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে সার্বিক বিষয় উল্লেখ করা হবে।