• সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার

আওয়ামী লীগ দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল

Reporter Name / ৪৮৯ Time View
Update : বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুঃস্বপ্ন দেখছে। তারা দেখছে এই বিএনপি চলে আসছে। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত আফসার আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বলেছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। এখন মানুষকে ৭০ টাকায় চাল কিনতে হচ্ছে। টিসিবির গাড়িগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সরকার পণ্যের দাম কমাতে পারছে না। দেশের ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ কোটি টাকা লোন নিলে পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়। সরকার আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারে ফোকলা করে দিয়েছে। একেবারে পুরোপুরিভাবে লুট করে নিয়ে গেছে। প্রতিটি ব্যাংক আজকে বিপদগ্রস্ত হয়ে আছে। আপনি ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বললে দেখবেন তারা বলবে ভাই সব শেষ। আমার এক বন্ধু আছে নাম বলবো না, তিনি ব্যাংক সেক্টরে বড় একটি দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেছেন যারা ব্যাংকে টাকা রাখেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রতিটা ব্যাংকই প্রায় ব্যাংক ক্রাফট হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে আওয়ামী লীগের লোক ছাড়া কেউ লোন পায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে একটা বর্গীর মতো অবস্থা। বর্গীরা যখন আসে এবং সব সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়, এই সরকার সেরকম একটা অবস্থা তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা একটি ভয়ঙ্কর দুঃসময় অতিক্রম করছি। এত বড় দুঃসময় এদেশে কখনো এসেছে কি না আমার জানা নেই। এখানে আমরা যারা আছি তারা অনেকেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে ছিলাম, আমরা যুদ্ধ করেছি। তখনো এত দুঃসময় ছিল না। তখন আমরা চিনতাম আমাদের শত্রু কে। কাদের সঙ্গে লড়াই করে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। তখন আমরা সবাই এক হয়ে গিয়েছিলাম। একটি লক্ষ্য ছিল আমাদের পাকিস্তানিদেরকে সরাতে হবে, জিততে হবে। তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে যাদের যুদ্ধে যাওয়ার সময়, সংগ্রাম করার সময়, যারা এই দুঃসময়কে দূর করবে। যারা এই অন্ধকারকে দূর করে আলো নিয়ে আসবে তারা কোথায় সেই যুবক কোথায় সেই তরুণ কোথায় তাদেরতো সমানে আসতে হবে। তাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি সংগ্রামে অবশ্যই তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। আমি অনেক দিন জোর দিয়ে বলছি এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, দেশে কেউ নিরাপদ নয়। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন হত্যা, খুন, জখম, ধর্ষণ, ছিনতাই, দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে। এখন নতুন করে বের হচ্ছে ই-কমার্সের লুণ্ঠন। ই-কমার্সে যারা লুণ্ঠন করছে তারা কারা কাদের আশ্রয়ে তারা লুণ্ঠন করছে কারা তাদের প্রটেকশনটা দিচ্ছে দেখবেন এই আওয়ামী লীগের লোকেরাই এর সঙ্গে জড়িত। মির্জা ফখরুল বলেন, এখন রাজনীতি হচ্ছে পদ চাই, পদবি চাই, আর বাড়ি-গাড়ি চাই। টাকা-পয়সা কীভাবে অর্জন করবো সেগুলো দরকার। এ দিয়ে কোনো পরিবর্তন হয় না। পরিবর্তন আনতে হলে আফসার আহমেদ সিদ্দিকির মতো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। যাদের জন্ম অত্যন্ত সচ্ছল পরিবারে কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য তারা নিজে ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কৃষক দল নেতা কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category