চিনু রঞ্জন তালুকদার :
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের আকবরপুর পুরাতন জামে মসজিদের নামে ব্যাংকের জমানো ৩,৭৭,০০০/- টাকা উত্তোলন পূর্বক খরচের ভাউচার নেই মর্মে তদন্ত পূর্বক প্রমান পেয়েছে পিবিআই, মৌলভীবাজার। আজ ১৮ জানুয়ারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমল আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান মামলার ১নং আসামী আবূল হোসেনের বিরুদ্ধে আকবরপুর মসজিদের ৩, লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা প্রতারনার মাধ্যমে আত্বসাতের নিমিত্তে দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৫০৬/৪২৭ ধারায় এবং অন্যান্য সকল আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৫০৬/৪২৭ ধারার অপরাধ আমলে নিয়ে সমন জারী করেছেন। আদালতের নির্দেশে বিগত ৪ ডিসেম্বর (সি.আর মামলা নং- ৭৯/২১ ইং) মামলার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ তদন্ত শেষে মো: আবুল হোসেন, মো: মিটুন মিয়া, মো: মোহন মিয়া, নজির মিয়া, রসিক মিয়া, ছমরু মিয়া, সিজিল মিয়া, মিজান আহমেদ, মো: মসুদ মিয়া, মো: আক্কাছ মিয়া, রাসেল মিয়া, নুরুল ইসলামদের বিরুদ্ধে পিবিআই, মৌলভীবাজার আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন। বাদীর আইনজীবী এড. ইজাজুল ইসলাম (তানভীর) জানান- আকবরপুর পূরাতন জামে মসজিদ একটি ওয়াকফকৃত মসজিদ যাহার ই.সি নং-১৮০২৬। উক্ত মসজিদে বিগত ২০/০৫/১৯৯৭ ইং তারিখে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক ২ জন যুগ্ম মোতাওয়ালী নিয়োগ করেন। যাহার মধ্যে মামলার ১নং আসামী আবুল হোসেন এবং বাদীর দাদা এম এ গফুর। তিনি মারা যাওয়ায় তাহার আপন ভাই আব্দুল খালিক মোতাওয়াল্লী নিযোক্ত হইয়া মৃত্যুবরণ করিলে তিনির স্থলাবিসিক্ত পরবর্তী যুগ্ম মোতাওয়াল্লী গোলাম আক্তাররের আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। বিগত ২০/০৫/১৯৯৭ ইং তারিখে ১নং বিবাদী আবুল হোসেন উক্ত মসজিদে যুগ্ম মোতাওয়াল্লী নিয়োগ পাবার পর হইতে অন্য মোতাওয়াল্লী এম এ গফুর গংদের বাদ দিয়া ওয়াকফ প্রশাসকের আদেশ অমান্য করিয়া সকল আসামীদের সঙ্গে নিয়া এককভাবে মসজিদের সকল কাযক্রম পরিচালনা করে আসছেন এবং সমজিদে আদিপত্য বিস্তার করে মসজিদের নামের ২৪০.০০ শতক জমি আসামীদের নামে লীজ গ্রহন করে আসছেন। তাছাড়া বাদীর দাদা উক্ত মসজিদের নামে ৯৪.০০ শতক জমি এবং গ্রামের মুসলীগনসহ মোট ২৪০.০০ শতক জমি মসজিদের নামে দান করিলেও ১নং আসামী আবুল হোসেন দান সক্রান্ত কোন দলিল দেখাতে পারেন নাই। মসজিদে ২জন মোতাওয়াল্লী নিয়োগ থাকা সত্ত্বেও তিনি এককভাবে মসজিদের সকল অডিট করিয়েছেন। অডিটর খরচের ভাউচার সংযোক্ত করার নির্দেশ প্রদান করিলেও আবুল হোসেন তাহা পালন করেন নাই। তাছাড়াও মসজিদের নামের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লি. মৌলভীবাজারের হিসেব হইতে ৩,৭৭,০০০/- টাকা উত্তোলন করে উক্ত টাকা মসজিদের খাতে খরচের কোন হিসেব বা ভাউচার দেখাতে পারেনাই বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য- মামলার বাদী এড.নিয়ামুল হক বিগত ১৯/০৬/২০২০ ইং তারিখে ১নং বিবাদী আবুল হোসেনের নিকট মসজিদের আয় ব্যয়ের হিসাব চাহিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাটিসোটা, দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসহ বাদীর উপর অতর্কিত হামলা করেন এবং বাদীর বাড়ীর পাশের আইনজীবী সম্ভলিত সাইনবোর্ড ছিড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় আদালতে বিগত ২৩/০২/২০২১ ইং তারিখে সি.আর ৭৯/২১ ইং মামলা দায়ের করা হয়।