• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র সংরক্ষণে অস্ত্রাগার নির্মাণের উদ্যোগ

Reporter Name / ৮৮ Time View
Update : সোমবার, ১৬ মে, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্যারামিলিটারি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য বিপুলসংখ্যক অস্ত্রাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের ৮ বিভাগের ৪০টি জেলায় ওসব অস্ত্রগার নির্মাণ করা হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওসব অস্ত্রাগার নির্মাণে সরকারের নেয়া প্রকল্প আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বাস্তবায়ন করবে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপিতে প্রকল্পটি বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি আগামী বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৩০ জুন মেয়াদের মধ্যে শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদে সংরক্ষণের জন্যই ওসব অস্ত্রাগার নির্মাণ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৯ হাজার ৭৮৮ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন করে সেখানে ১১ হাজার ৪১৪ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে অনাবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। যা অস্ত্রাগার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তার বাইরেও দেশের ৪০ জেলায় সিকিউরিটি পোস্ট ভবন, ড্রেন, এপ্রোন, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। অস্ত্রাগারে বহিস্থ পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। যানবাহন কেনাসহ অস্ত্রাগার এলাকায় বনায়নসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সরকারের নেয়া ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যে কোনো জাতীয় জরুরি অবস্থায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে কার্যকরভাবে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সুবিধা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। যার সঙ্গে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ।
সূত্র আরো জানায়, অস্ত্রগার নির্মাণের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের আগে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জেলা সদরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার নির্মাণের মাধ্যমে বাহিনীর অস্ত্র-গোলাবারুদ সুরক্ষিত থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত অস্ত্র-গোলাবারুদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জননিরাপত্তা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কর্তৃক সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ৬৪ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য একনেকের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।
এদিকে প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি জেলায় অস্ত্রসহ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু তাদের অস্ত্র নিরাপদে রাখার সুব্যবস্থা নাই। অনেক সময় অস্ত্র খোয়া যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার ওসব অস্ত্রাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে জেলা সদরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র-গোলাবারুদ সুরক্ষিত থাকবে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত অস্ত্র-গোলাবারুদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category