নিজস্ব প্রতিবেদক :
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান) মামলায় পক্ষভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার শ্বশুরকে কোম্পানির পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকার শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়ে করা আবেদনের ওপর কোনো আদেশ দেননি আদালত। ইভ্যালির শেয়ার রাসেলের শ্বশুরকে হস্তান্তরের আবেদন ও স্ত্রীর করা আবেদন শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক (কোম্পানি কোর্ট) বেঞ্চ এই আদেশ দেন। গ্রাহকের রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন। রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শামীম আহমেদ মেহেদী। এর আগে গত ৬ এপ্রিল ইভ্যালির (সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ওইদিন কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান) শেয়ার কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেন রাসেলের শ্বশুর, শাশুড়ি ও কোম্পানিটির সাবেক এক নির্বাহী পরিচালক। ওইদিন কোম্পানি বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা প্রথমে মৌখিকভাবে এই ইচ্ছার কথা জানান। আদালত তাদের পরিকল্পনা ও অভিপ্রায় হলফনামা আকারে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এর পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি কারাগারে থাকা আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের শেয়ারের ৫০ শতাংশ রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ইভ্যালির শেয়ার নিতে ওই তিনজনের আবেদনের শুনানি নিয়ে সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আগের আদেশ সংশোধন করে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক (কোম্পানি কোর্ট) বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে জানানো হয়; এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২০ শতাংশ শেয়ার তথা রাসেল-শামীমা দম্পতির শেয়ারের ৫০ শতাংশ রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এই তিনজন আদালতের অনুমতি ছাড়া সে শেয়ার আর হস্তান্তর করতে পারবেন না। সেইসঙ্গে তারা এই শেয়ারের বিষয়ে ইভ্যালি নিয়ে হাইকোর্টের গঠিত বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৮ অক্টোবর আদালত ইভ্যালি দেখভাল করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করেন উচ্চ আদালত। পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ (বোর্ড) ইভ্যালির অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারে নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।