• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার

উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা

Reporter Name / ১১৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২

মো. মাইন উদ্দীন :
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ডিএইচএমএস ২০২১ ফাইনাল পরীক্ষায় কেন্দ্র পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বোর্ড সদস্যকে বাধা প্রদান ও উচ্চ আদালতের অর্ডারকে অবজ্ঞা প্রদর্শন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের অধীনে ডিএইচএমএস ২০২১ ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। “দি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি প্র্যাকটিশনার্স অডিন্যান্স-১৯৮৩”এর ১৮(২)এর(বি) এবং (৩) ধারা মতে অত্র বোর্ডের পরীক্ষা পরিচালনার নিয়মাবলী ৩৬ নং ধারা এবং পরীক্ষা কমিটি ও বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত ডিএইচএমএস ফাইনাল পরীক্ষার কেন্দ্র গুলির সুষ্ঠু পরিবেশ, নিরাপত্তা জনিত বিষয়াদি এবং নকল মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও হোমিওপ্যাথি বোর্ডের বিভাগীয় সদস্যগণকে পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনের দায?িত্ব দিয়ে থাকেন। সেই মোতাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদস্য ডাঃ একেএম ফজলুল হক চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত দুটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে উক্ত কেন্দ্র গুলির সচিব ও অতিরিক্ত সচিবগন তাকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা প্রদান করেন ও বোর্ডের লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে অসহযোগিতা করেন এবং তার সাথে অশালীন আচরণ করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তিনি উক্ত দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে বারবার সাক্ষাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এমতাবস্থায় বিগত ১৭/১০/২০২২ ইংরেজি তারিখে তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত তার রীট পিটিশনের (রীট পিটিশন নং-১১৮৯৬/২০২২) প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য সচিব, বোর্ডের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা), বোর্ডের রেজিস্ট্রার, কন্ট্রোলার ও উক্ত কেন্দ্র গুলির সচিবগণকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের বিধিবিধান অনুযায়ী নির্দেশিত চিঠি বাস্তবায়নে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান, কেন্দ্র পরিদর্শনের বাধা না দেয়া এবং তার কর্তব্য কাজে সহযোগীতার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অথচ উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট অর্ডার থাকা সত্ত্বেও উক্ত দুটি কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবগন, অতিরিক্ত কেন্দ্র সচিবগন তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি এবং তার কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান করেন। এখানে উল্লেখ্য যে পরীক্ষার সময়সূচি কম থাকার দরুন উচ্চ আদালতের নির্দেশনাটি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আদালতের একজন মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অত্র দুটি কেন্দ্র কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ও উক্ত দুটি কেন্দ্র সচিবগনের নিকট পাঠানো হয়েছে কিন্তু উক্ত দুই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবগণ আদালতের পাঠানো মেসেঞ্জার এর মারফত নির্দেশনাটি গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন, বাধ্য হয়ে মেসেঞ্জার ঢাকায় ফিরেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় বোর্ড সদস্য উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে করনীয় নির্ধারণে চিঠি দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category