নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের উন্নয়নকে নষ্ট করতে যত অপশক্তিই আসুক না কেন পুলিশ তা প্রতিহত করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের জন্য সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রাণ দিয়েছিল পুলিশরা। এতে প্রমাণিত হয় দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছে পুলিশ। কমিউনিটিং পুলিশিংয়ে জনগণের সম্পৃক্তা বেড়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে রোল মডেলে পরিণত করেছেন। জনতা-পুলিশ একসঙ্গে সরকারের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে পুলিশ ও জনতা একসঙ্গে ভালো কাজে সহযোগিতা করছে ও মন্দ কাজের কারণ খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই প্রথম সম্মুখযুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে বুকের তাঁজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। দেশের প্রয়োজনে তারা আবারও এগিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, পুলিশের কাজে সহযোগিতা, বাল্যবিয়ে রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী-শিশু নির্যাতন, যৌতুক নিরোধসহ বিভিন্ন কাজে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। আর এটি সামাজিক শৃংখলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর আগে নওগাঁ জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা পুলিশ লাইনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন, জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম মামুন খান চিশতি ও গাজিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল হাসান, সাবেক অধ্যক শরিফুল ইসলাম খানসহ পুলিশের অন্যান্যা কর্মকর্তা, সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা। উল্লেখ্য, বর্তমানে সারাদেশে মোট ৫৪ হাজার ৭১৮টি কমিটিতে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০১ জন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ওপেন হাউজ ডের মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভা, গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম, অপরাধবিরোধী সভা, দৃশ্যমান পেট্রল ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকা- কমিয়ে আনা।