• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

উপেক্ষিত হচ্ছে লবণ শিল্প

Reporter Name / ৬৭ Time View
Update : বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
উপেক্ষিত হচ্ছে লবণ শিল্প। সরকার ওই শিল্পের দিকে তেমন নজর দিচ্ছে না। বর্তমানে সমুদ্র উপকূলীয় লবণ চাষের জমিকে মাছের ঘের হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেজন্যই প্রায় ২ মাস বিলম্বে লবণ চাষ শুরু করতে হচ্ছে। তাছাড়া মাছ চাষের কারণে জমির লবণাক্ততা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লবণ উৎপাদনও কম হচ্ছে। তারপরও লবণ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অথচ খাল খননের মাধ্যমে নাব্য বৃদ্ধি এবং মাছ চাষের সময় অক্টোবর পর্যন্ত বেঁধে দেয়া হলে বছরে অন্তত ১০/১২ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু সরকারিভাবে সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে না। গত বছর ২২ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। বিসিক এবং লবণ শিল্প সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া ও বাঁশখালী সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় লবণের চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু এখন কক্সবাজার, মহেশখালী ও চকরিয়া এলাকায় লবণ আবাদের জমি মাছের ঘের হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাছের চাষ করা হয়। মাছের চাষে মিঠা পানির ব্যবহার হয়ে থাকে। আর লবণ চাষে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করা হয়। মাছের চাষের কারণে জমিতে অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত মিঠা পানি আটকে রাখা হয়। তারপর লবণ চাষের জন্য ঘের থেকে পানি ছেড়ে দেয়া হয়। আর মিঠা পানি ছেড়ে দেয়ার পর জমিতে পুনরায় লবণাক্ততা ফিরিয়ে আনতে অনেক সময় লাগে। ফলে পিছিয়ে যাচ্ছে লবণ চাষ। যেসব জমি মাছের ঘের হিসেবে ব্যবহৃত হয় না সেসব জমিতে নভেম্বরের আগেই লবণ উৎপাদন শুরু করা যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, সমুদ্র উপকূলীয় ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে লবণের চাষ হয়ে থাকে। ওই চাষের সঙ্গে ৩২ হাজার চাষির জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। সমুদ্র থেকে অনেকটা ভেতরে জমিতে লবণের চাষ হয়। খাল দিয়ে পানি লবণ চাষের জমিতে আনা হয়। কিন্তু খালগুলো ভরাট হয়ে নাব্য কমে গেছে। ফলে সাগর থেকে লবণাক্ত পানি জমিতে পৌঁছা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তারপরও খাল খননের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে চিংড়ি ঘেরের কারণে লবণ চাষ দুই-তিন মাস পিছিয়ে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কুতুবদিয়ায় সবার আগে লবণ উৎপাদন শুরু হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। অথচ অন্যান্য জমি থেকে লবণ আসতে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় লাগবে। কারণ জমিতে কৃত্রিমভাবে লবণাক্ততা ফিরিয়ে আনতে সময় লাগে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বিসিক কক্সবাজার কার্যালয়ের ডিজিএম জাফর ইকবাল ভূঁইয়া জানিয়েছেন, মাছ চাষের কারণে লবণ চাষ বিলম্বে শুরু হচ্ছে। লবণ চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সম্প্রতি বৈঠকে মাছের ঘের থেকে পানি অক্টোবরের মধ্যে ছেড়ে দেয়া জন্য দাবি জানিয়েছে। যাতে চিংড়ি চাষের সময় বেঁধে দেয়া যায়। তাছাড়া খালের নাব্য কমে যাওয়ায়ও লবণ চাষে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খাল খনন করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category