• বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
এক সপ্তাহের মধ্যে হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা প্রত্যাহার: আইন উপদেষ্টা ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: জামায়াত আমির বিশেষ ওএমএস’র মেয়াদ বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা নানামুখী অভিযানেও বন্ধ করা যাচ্ছে না নৌপথে মানব পাচার ভ্যাট মামলা ও বকেয়ায় আটক হাজার হাজার কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ ক্ষুদ্রঋণ চালু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় আর্জেন্টিনা বৈষম্যহীন দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান ইসির চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইউএনডিপি সাকিব আল হাসানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা রক্ত ঝরবে কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

একদিন পরেই এনামুল বাছিরের জামিন প্রত্যাহার

Reporter Name / ৮৮ Time View
Update : বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা ঘুস গ্রহণের মামলায় বিচারিত আদালতে আট বছরের কারাদ-প্রাপ্ত দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে দেওয়া জামিনের আদেশ (রিকল) প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি হাইকোর্টের কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া জামিন আবেদন জমা না দিয়ে জামিন শুনানি করায় আইনজীবীকে সতর্ক করেছেন আদালত। এর আগে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আপিলের নথিতে জামিন আবেদন না থাকায় একদিন পর জামিনাদেশ প্রত্যাহার করে নিলেন হাইকোর্ট। জামিনের একদিন পর গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ তার জামিন আবেদন (রিকল) প্রত্যাহার করে আদেশ দেন। আদালতে আজ বুধবার দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর এনামুল বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরৗ। এ বিষয়ে খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, দ-ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন এনামুল বাছির। এর আগে ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই আপিলে জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী। আদালত গত মঙ্গলবার জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু নথিতে জামিন আবেদন দেওয়া হয়নি। তাই আদালত জামিনাদেশ প্রত্যাহার করেছেন। খুরশীদ আলম আদালতের বরাত দিয়ে জানান, বিচারপতি স্পষ্ট করে বলেছেন আপনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, আপনাদের বিশ্বাস করি, আপনাদের কথার ওপর আমরা আদেশ দেই। কিন্তু আপনি জামিন দরখাস্ত না দিয়ে শুনানিতে অংশ নিলেন, এটা ভুল হতে পারে। কিন্তু আমাকে বলা উচিত ছিল। কিন্তু তা আপনি করেননি। এটা প্রথম ভুল। আদালতের করাত দিয়ে দুদক আইনজীবী আরও বলেন, দ্বিতীয় ভুল আমার অনুমতি না নিয়ে আমার বেঞ্চ অফিসারকে জামিনের দরখাস্তটি দিলেন। আমার বেঞ্চ অফিসারের ভুল হচ্ছে, তিনি আমার অনুমতি না নিয়ে দরখাস্ত নিয়েছেন। এখানে যেকোনো দরখাস্ত দিতে গেলে আমার পারমিশন লাগবে। এখন দেখছি দুজনই সমান অপরাধী। আমি আপনাকে বার কাউন্সিলে পাঠাতাম, কিন্তু আপনাকে আমি চিনি, আপনার বিরুদ্ধে অতীতে খারাপ রেকর্ড নেই। এই শাস্তি হিসেবে জামিন প্রত্যাহার করে নিলাম। ২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুস দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। এরপর ঘুস লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দিয়েছিলেন তিনি। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুস দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন। এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন। এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। এ মামলায় ডিআইজি মিজানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা। এ ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদ- দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। এর মধ্যে ঘুস লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দ-বিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দ-বিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদ- ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দ- একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দ- ভোগ করতে হবে। তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দ-িত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেওয়া হয়নি। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল এবং জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিত করেছিলেন উচ্চ আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category