নিজস্ব প্রতিবেদক :
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানের প্রথমদিনে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে ভবনে এডিশ মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০ মামলায় ৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ডিএনসিসি। অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন মগবাজার এলাকায় এ অভিযানের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। পরে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এর মধ্যে মগবাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে ৫টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫ মামলায় ২ লাখ ৭০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন কারওয়ানবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ। অভিযানে একটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অঞ্চল-২ এর আওতাধীন পল্লবী, রূপনগর ও শাহআলী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ৫ মামলায় এক লাখ ৩০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১২ নম্বর সেক্ট্রর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন। উত্তরা এলাকায় দুটি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। পরে দুজন ভবন মালিককে ৮০ টাকা জরিমানা করা হয়। অঞ্চল-৮ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ। এখানে একটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন। অভিযানে ৭ স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় চার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং পাঁচটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ছোলমাইদ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এ এলাকায় এডিসে লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গুনিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করেন। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।