নিজস্ব প্রতিবেদক :
কন্যাশিশুরা বিকশিত হলে দেশ সমৃদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘আমরা কন্যা শিশু-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো’ প্রতিপাদ্যে এ বছর উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। সকালে শিশু একাডেমি চত্বরে বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। দিবসের আয়োজনে বাল্যবিয়েকে ‘না’ ও নিজেদের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের কথা তুলে ধরেন সাহসী কন্যাশিশু এবং কিশোরীরা। এ সময় ঢাকার গেন্ডারিয়ার আমেনা আক্তার বৃষ্টি জানান, অল্প বয়সে পরিবার বিয়ে দিতে উদ্যোগী হলে নিজেই বিয়ে বন্ধ করে দেন। শুধু নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েই থেমে থাকেনি বৃষ্টি, এলাকায় এ পর্যন্ত ২০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন। কন্যাশিশুর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় কাজ করা গুড নেইবার বাংলাদেশের জেরিন আক্তার ও অপরাজেয় বাংলার মনোয়ারা আক্তার তানহাও নিজেদের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এমন উদাহরণ সৃষ্টিকারী গল্প তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মো. সায়েদুল ইসলাম আরও বলেন, কন্যাশিশুরা বিকশিত হলে দেশ সমৃদ্ধ হবে। কন্যাশিশুর পড়াশোনা, সুরক্ষা ও বিকাশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার সকলের দায়িত্ব রয়েছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে আছে। প্রতিটি কন্যাশিশুরই রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। তারা সমান সুযোগ পেলে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে। তিনি বলেন, কন্যাশিশু ও ছেলেশিশু আলাদা কিছু না। তারা সবাই শিশু। কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্য শুরু হয় পরিবার থেকে। এই বৈষম্য আমাদেরই রোধ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কন্যাশিশুর শিক্ষা ও বিকাশে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। যার ফলে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বিশ্বে অন্যান্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি রাবেয়া বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও নাছিমা আক্তার জলিসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে শিশুদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।