• সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৫ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
দদুর্নীতির বড় অভিযুক্তরা পাশের দেশে আছেন: দুদক চেয়ারম্যান এবারও আসছে তীব্র তাপপ্রবাহ, নেই তেমন প্রস্তুতি লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যে সাবেক এমপি চয়নকে গ্রেফতার করলো পুলিশ হাওরে কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ‘ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই ২৫ কর্মকর্তার লকারই পায়নি দুদক কৃষিঋণ বিতরণ কমায় বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা আমরা একটি সুস্থ জাতি দেখতে চাই: সেনাপ্রধান

করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিতে ঢাকা ও রাঙামাটি

Reporter Name / ১৪২ Time View
Update : বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানী ঢাকা ও পার্বত্য জেলা রাঙামাটিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; মাঝারি মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সীমান্তবর্তী ছয় জেলা। সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ- এই তিন ভাগে ভাগ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। লাল রঙকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, হলুদকে মধ্যম এবং সবুজ কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, উচ্চ ঝুঁকির এলাকা ঢাকা ও রাঙামাটি জেলায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশের মধ্যে।ইয়েলো জোন অর্থাৎ মধ্যম মাত্রার ঝুঁকিতে থাকা রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, যশোরে শনাক্তের হার এখন ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে। আর সংক্রমণের হার শূন থেকে চার শতাংশের মধ্যে রয়েছে এমন ৫৪টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে সবুজ রঙে। এই জেলাগুলো হল- চট্টগ্রাম, বগুড়া, গাজীপুর, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া, নীলফামারী, বরগুনা, শেরপুর, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পিরোজপুর, বাগেরহাট, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, ঝালকাঠি, খুলনা, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, সিলেট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, খাগড়াছড়ি, ঝিনাইদহ, পাবনা, মাদারীপুর, মাগুরা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, ভোলা, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং নড়াইল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ঢাকা জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ মধ্যম থেকে উচ্চ ঝুঁকির পর্যায়ে রয়েছে। রাঙামাটি জেলা গত সপ্তাহে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকায় থাকলেও এ সপ্তাহে তা উচ্চ ঝুঁকিতে পড়েছে। কম ঝুঁকি থেকে মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় এসেছে রাজশাহী, রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, যশোর। নাটোর জেলা গত সপ্তাহ থেকেই মধ্যম ঝুঁকিতে ছিল, এ সপ্তাহে অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে ঢাকা জেলায় ৪৩ হাজার ১৬২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫ হাজার ৫৬৯ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, যা শতকরা ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে ঢাকা জেলায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল। রাঙামাটি জেলায় ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এ সপ্তাহে। এই জেলায় শনাক্তের হার এখন ১০ শতাংশ, যা আগের সপ্তাহে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছিল। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময় গতবছর জুলাই-অগাস্ট সময়ে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর তা নামতে নামতে জুলাই মাসে ২ শতাংশের নিচে চলে আসে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রনের ত্রাস। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এদিকে গতকাল বুধবার সকালে অধিদফতরের ওয়েবসাইটে পাওয়া সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এই দুই জেলাকে রেড জোন ঘোষণা করা হলো কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এটা স্বাস্থ্য অধিদফতরের সপ্তাহভিত্তিক নিয়মিত বিশ্লেষণের চিত্র। সংক্রমণ পরিস্থিতি বোঝার জন্য, বিশ্লেষণের জন্য, এটা করা হয়। সংক্রমণ পরিস্থিতি বোঝার জন্য বিভিন্ন জেলায় শনাক্ত করা হয় এবং সে অনুযায়ী আমরা লজিস্টিক সাপোর্ট, চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ এবং সতর্কবার্তা দেওয়ার কাজ করে থাকি। এটা জাতীয় পর্যায়ে রেড বা গ্রিন জোন পর্যায়ের কিছু না। তিনি বলেন, ইন্টারপ্রিটেশনটা (ব্যাখাটা) এ রকম নয়। জেলায় রোগী কম বা বেশি পাওয়া সাপেক্ষে এমন ডিজাইন করা হয়। নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি জানি না এটা ওয়েবসাইটে কেন দেওয়া হয়েছে। এমনকি অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ আমরা কেউ এটা জানি না। সাধারণত এটা প্রকাশ করা হয় না। এটা ভুলবোঝাবুঝি তৈরি করবে। জাতীয় পর্যায়ে এ রকম কোনও বিষয়ই ঘটেনি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, আজ যেখানে রোগী দেখাচ্ছে ৪ শতাংশ, কাল হয়তো সেখানে দুই শতাংশ হবে, অথবা বাড়বেÑএটা সামগ্রিক অবস্থার রিফ্লেকশন নয়।’ তিনি বলেন, এই চিত্র অযথা বিভ্রান্তি তৈরি করবে। মানুষকে কষ্টে ফেলবে। মানুষ এই নিউজ দেখলেই…রেড জোন-গ্রিন জোন নির্ধারণ করবে, অযথা কেনাকাটা, দোড়ঝাঁপ শুরু করবে। এর কোনও যুক্তি নেই। নাজমুল ইসলাম বলেন, এই চিত্র…প্রতি সপ্তাহে মিটিং হয়, কোনও কোনও সপ্তাহে দুইবার মিটিং হয়। রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার দেখে সেখানে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ করা হয়। এর সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, সারদেশে রোগী পাওয়া গেছে দুই হাজার। তাহলে কীভাবে সেটা রেড জোন হবে। একটা মহল্লায় যদি দুই হাজার রোগী পাওয়া যায়, তখন বলা যাবে পরিস্থিতি খারাপ। অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, অধিদফতরের বানানো টেমপ্লেট এটা। এখানে পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়। এটা মিটিংয়ে তুলে ধরা হয় এবং সেই অনুয়ায়ী কাজ হয়। এটা ওয়েবসাইটে কেমন করে গেলো, আমি খুব অবাক হচ্ছি। ইরেসপনসিবল কাজ এটা। সত্যি সত্যি যখন রেড জোনÑগ্রিন আমরা করবো, তখন পাবলিকলি ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জানাবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category