• সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

কলাবাগানে ছাত্রী ধর্ষণ-হত্যা: দিহানের বিচার শুরু

Reporter Name / ১০৫ Time View
Update : বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগের মামলায় একমাত্র আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহানের (১৮) বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হলো। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি দুপুরে ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ওইদিন রাতেই ফারদিন ইফতেখার দিহানকে আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপারস আনার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। আসামি দিহান দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তাদের বাসায় গিয়েছিল। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছান। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগানে ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য আসামি নিজেই ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ মামলায় গত বছরের ৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছা জবানবন্দি দেন আসামি দিহান। একই বছরের ৮ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ। চার্জশিটে মোট সাক্ষী করা হয় ৫৫ জনকে। চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভিকটিমের (শিক্ষার্থী) যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হওয়ার একমাত্র কারণ, আসামি দিহান তাকে ফুসলিয়ে তার নির্জন বাসায় এনে অমানবিকভাবে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া বর্বরোচিত ও পৈশাচিকভাবে ফরেন বডি ভিকটিমের গোপনাঙ্গে প্রবেশ করান। ধর্ষণের সময় আসামি দিহানের অমানবিক কার্যকলাপের কারণে গোপনাঙ্গে প্রচুর রক্তক্ষরণের সৃষ্টি হলে ভিকটিম অচেতন হয়ে পড়েন। আসামি ধর্ষণের বিষয়টি কৌশলে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ভিকটিমকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর আসামি দিহান ভিকটিমের পরনের ভেতরের পোশাক ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে নিজের টি শার্ট ও প্যান্ট পরিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু পুলিশ খুব দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে চলে যাওয়ায় আসামি দিহান পালানো বা অন্য কোনো পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হন। সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামি দিহানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আসামির বিরুদ্ধে ওই আইনের একই ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো- উল্লেখ করা হয় চার্জশিটে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category