০৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫ | ই-পেপার

কামরুন নাহারকে ছাড়া কি চলবে না: হাইকোর্ট

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
  • ২২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপের ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এটাই শেষ সময়। এরপর রিপোর্ট দাখিলের জন্য কোনো সময় দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে আদালতের আদেশ সত্ত্বেও ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এখনো দাখিল করা হয়নি। উনি অধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় তদন্ত হলে তা ঠিকমত হবে না। ওঁর বিপক্ষে কেউ রিপোর্ট দেবে না। তাই রিপোর্ট দাখিলের আগ পর্যন্ত কামরুন নাহারকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার আদেশ প্রার্থনা করছি। আর সরকারের প্রতি নির্দেশনা দিন যেন দ্রুত রিপোর্ট দাখিল করে। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার এই রিটের গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়। এ পর্যায়ে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার আদালতকে বলেন, রিট তো চলে না প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেটও আছে। কামরুন নাহার একজন বিসিএস ক্যাডার। তিনি একটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এখানে থাকতে চান না। তাকে সরকারের পক্ষ থেকে জোর করে ভিকারুননিসায় আনা হয়েছে। এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, তিনি এমন কোনো লোক না যে তাকে ছাড়া ভিকারুননিসা চলবে না। এসব কথা কোর্টে এসে বলবেন না। এরপর আদালত ৩১ জানুয়ারি এই রিট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের সব দপ্তর দুই শনিবার খোলা

কামরুন নাহারকে ছাড়া কি চলবে না: হাইকোর্ট

আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপের ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এটাই শেষ সময়। এরপর রিপোর্ট দাখিলের জন্য কোনো সময় দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে আদালতের আদেশ সত্ত্বেও ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এখনো দাখিল করা হয়নি। উনি অধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় তদন্ত হলে তা ঠিকমত হবে না। ওঁর বিপক্ষে কেউ রিপোর্ট দেবে না। তাই রিপোর্ট দাখিলের আগ পর্যন্ত কামরুন নাহারকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার আদেশ প্রার্থনা করছি। আর সরকারের প্রতি নির্দেশনা দিন যেন দ্রুত রিপোর্ট দাখিল করে। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার এই রিটের গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়। এ পর্যায়ে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার আদালতকে বলেন, রিট তো চলে না প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেটও আছে। কামরুন নাহার একজন বিসিএস ক্যাডার। তিনি একটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এখানে থাকতে চান না। তাকে সরকারের পক্ষ থেকে জোর করে ভিকারুননিসায় আনা হয়েছে। এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, তিনি এমন কোনো লোক না যে তাকে ছাড়া ভিকারুননিসা চলবে না। এসব কথা কোর্টে এসে বলবেন না। এরপর আদালত ৩১ জানুয়ারি এই রিট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।