ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়া হবে সায়েদাবাদে: মেয়র আতিক

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজার স্থানান্তর করে সায়েদাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে। ওই স্থানে অত্যাধুনিক বিজনেস হাব করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারের ডিএনসিসি আঞ্চলিক অফিসের সামনে ১০ দিনব্যাপী জনসচেতনতামূলক ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিক বলেন, একটা শহরের মধ্যে এ ধরনের পাইকারি বাজার থাকতে পারে না। আমরা কারওয়ান বাজারকে আরও আধুনিক করতে চাই। এই বাজারকে সায়েদাবাদ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে। এই স্থানে অত্যাধুনিক বিজনেস হাব সেন্টার হবে। সেই পরিকল্পনাও আমরা করে রেখেছি। এদিন মেয়রের আগমন উপলক্ষে কারওয়ান বাজার এলাকায় ময়লার স্তূপ সামান্য পরিষ্কার করা হয়েছে। অন্য সময় কেন নিয়মিত বাজারের বর্জ্য পরিষ্কার করা হয় না- এমন প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, যখন অন্য এলাকা পরিদর্শনে যাবো, বর্জ্য নিয়ে যদি এমন অভিযোগ আসে, তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, ময়লার গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনার পর আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। এখন রাতে বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফলে সারাদিন শহর আবর্জনা পূর্ণ থাকে। বর্জ্য সংগ্রহে আমাদের জনবল সঙ্কট রয়েছে। আশা করি এক মাসের মধ্যে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবো। বর্জ্য সংগ্রহে আমাদের অনেক গাড়ি আছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় চালক নেই। দেখা যাচ্ছে যেসব চালক রয়েছেন, তাদের অনেকের লাইসেন্স নেই। এটা একদিনে হয়নি। যুগে যুগে এই সঙ্কট পুঞ্জীভূত হয়েছে, অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্কট সমাধানে আমরা কাজ করছি। মাস্ক দেখানোর জন্য নয়, নিজের স্বার্থেই পরতে হবে উল্লেখ করে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, কয়েকদিনের ক্যাম্পেইনের পরে মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটরা নামবেন। হুট করে কোনো প্রতিষ্ঠান আমরা বন্ধ করতে চাই না। আমরা জনগণকে সচেতন করতে চাই। মাস্ক দেখানোর জন্য নয়, নিজের স্বার্থে পরতে হবে। নিজে বাঁচলে বাপের নাম। নিজে বাঁচি অন্যকে বাঁচাই। নিজের পরিবার সুস্থ থাকলে। অন্যের পরিবারও সুস্থ থাকবে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৩২ লাখ মাস্ক বিতরণ করেছি। আজকে থেকে প্রায় তিন লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ শুরু করেছি। মাস্ক পরার জন্য জনগণকে আমরা উদ্বুদ্ধ করছি, বিভিন্ন মার্কেট ও হোটেলে যাচ্ছি। তিনি বলেন, মাস্ক পরলে আমার পরিবার সুস্থ থাকবে। এই শহর ও দেশ সুস্থ থাকবে। মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবাই এই ধারণা নিয়ে আমরা নেমেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হচ্ছে। মেয়র বলেন, আপনারা দেখেছেন গত বছর রোজার আগে মার্কেটগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যদি আমরা দেখি মার্কেটের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে বেচাকেনা হচ্ছে, তাহলে সেই দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। এরইমধ্যে আমরা সেই নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু তার আগে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালাতে চাই। হুট করে আমরা কোনো কিছু বন্ধ করতে চাই না। মানুষকে সচেতন করতে চাই। নগরবাসী, মার্কেটের সব দোকানদার ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, সবার সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। একা কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব না মানুষকে সচেতন করা। মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেমরা প্রতি ওয়াক্তে এবং জুম্মার নামাজের সময় মুসল্লিদের সব সময় মাস্ক পরার মেসেজ দেবেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, অঞ্চল ৫ এর (কাওরান বাজার) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোতাকাব্বীর আহমেদ প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পেঁয়াজ উৎপাদন নিয়ে কৃষকের লোকসানের শঙ্কা বাড়ছে

কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়া হবে সায়েদাবাদে: মেয়র আতিক

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজার স্থানান্তর করে সায়েদাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে। ওই স্থানে অত্যাধুনিক বিজনেস হাব করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারের ডিএনসিসি আঞ্চলিক অফিসের সামনে ১০ দিনব্যাপী জনসচেতনতামূলক ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিক বলেন, একটা শহরের মধ্যে এ ধরনের পাইকারি বাজার থাকতে পারে না। আমরা কারওয়ান বাজারকে আরও আধুনিক করতে চাই। এই বাজারকে সায়েদাবাদ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে। এই স্থানে অত্যাধুনিক বিজনেস হাব সেন্টার হবে। সেই পরিকল্পনাও আমরা করে রেখেছি। এদিন মেয়রের আগমন উপলক্ষে কারওয়ান বাজার এলাকায় ময়লার স্তূপ সামান্য পরিষ্কার করা হয়েছে। অন্য সময় কেন নিয়মিত বাজারের বর্জ্য পরিষ্কার করা হয় না- এমন প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, যখন অন্য এলাকা পরিদর্শনে যাবো, বর্জ্য নিয়ে যদি এমন অভিযোগ আসে, তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, ময়লার গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনার পর আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। এখন রাতে বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফলে সারাদিন শহর আবর্জনা পূর্ণ থাকে। বর্জ্য সংগ্রহে আমাদের জনবল সঙ্কট রয়েছে। আশা করি এক মাসের মধ্যে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবো। বর্জ্য সংগ্রহে আমাদের অনেক গাড়ি আছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় চালক নেই। দেখা যাচ্ছে যেসব চালক রয়েছেন, তাদের অনেকের লাইসেন্স নেই। এটা একদিনে হয়নি। যুগে যুগে এই সঙ্কট পুঞ্জীভূত হয়েছে, অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্কট সমাধানে আমরা কাজ করছি। মাস্ক দেখানোর জন্য নয়, নিজের স্বার্থেই পরতে হবে উল্লেখ করে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, কয়েকদিনের ক্যাম্পেইনের পরে মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটরা নামবেন। হুট করে কোনো প্রতিষ্ঠান আমরা বন্ধ করতে চাই না। আমরা জনগণকে সচেতন করতে চাই। মাস্ক দেখানোর জন্য নয়, নিজের স্বার্থে পরতে হবে। নিজে বাঁচলে বাপের নাম। নিজে বাঁচি অন্যকে বাঁচাই। নিজের পরিবার সুস্থ থাকলে। অন্যের পরিবারও সুস্থ থাকবে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৩২ লাখ মাস্ক বিতরণ করেছি। আজকে থেকে প্রায় তিন লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ শুরু করেছি। মাস্ক পরার জন্য জনগণকে আমরা উদ্বুদ্ধ করছি, বিভিন্ন মার্কেট ও হোটেলে যাচ্ছি। তিনি বলেন, মাস্ক পরলে আমার পরিবার সুস্থ থাকবে। এই শহর ও দেশ সুস্থ থাকবে। মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবাই এই ধারণা নিয়ে আমরা নেমেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হচ্ছে। মেয়র বলেন, আপনারা দেখেছেন গত বছর রোজার আগে মার্কেটগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যদি আমরা দেখি মার্কেটের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে বেচাকেনা হচ্ছে, তাহলে সেই দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। এরইমধ্যে আমরা সেই নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু তার আগে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালাতে চাই। হুট করে আমরা কোনো কিছু বন্ধ করতে চাই না। মানুষকে সচেতন করতে চাই। নগরবাসী, মার্কেটের সব দোকানদার ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, সবার সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। একা কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব না মানুষকে সচেতন করা। মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেমরা প্রতি ওয়াক্তে এবং জুম্মার নামাজের সময় মুসল্লিদের সব সময় মাস্ক পরার মেসেজ দেবেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, অঞ্চল ৫ এর (কাওরান বাজার) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোতাকাব্বীর আহমেদ প্রমুখ।