• রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

কারারক্ষী নিয়োগে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট

Reporter Name / ৭৮ Time View
Update : বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের কারাগারগুলোতে কারারক্ষী পদে ৮৮ জনের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কারা মহাপরিদর্শককে (আইজি প্রিজন) এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সিলেট কারাগারে অন্যজনের পরিচয়ে ১৮ বছর ধরে কারারক্ষীর চাকরি করা জহিরুলকে সরিয়ে প্রকৃত নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিকে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একজনের নামে অন্যজন কারারক্ষী পদে চাকরি করার অভিযোগ এনে করা রিটের শুনানি শেষে আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কালাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। চলতি বছরের ৩১ জুলাই ‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরি ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!’ শিরোনামে ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করেন ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম এশু। প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন অন্যজন। আর এরইমধ্যে জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তেও সত্যতা পাওয়া গেছে। সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে এশু চাকরি ফিরে পেতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু সে আবেদনে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে কারারক্ষী পদে আবেদনকারীর যোগদানপত্র গ্রহণে এবং আবেদনকারীর পদে চাকরি করা অন্যজন জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন পাঁচ বিবাদীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপ-মহাপরিদর্শক, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ও কারারক্ষী হিসাবে চাকরিরত জহিরুল ইসলামকে বিবাদী করা হয়। গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত রিট শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, এরকম একটি স্পর্শকাতর জায়গায় যদি এমন অনিয়ম হয়, তাহলে কিন্তু এটা অশনি সংকেত। বেশ বড় ধরনের অভিযোগ। ওইদিন শুনানির এক পর্যায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, গণমাধ্যমে দেখা যায়, বস্তায় বস্তায় টাকা দিয়ে ঘুষ লেনদেন হয়। তখন আদালত বলেন, এখন আর টাকায় নয়, ঘুষ লেনদেন হয় ডলারে। এসব বিষয় তো দুদক দেখে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category