মোঃ জুয়েল হোসাইন :
১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে টাকার বিনিময়ে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগে বান্দরবানে পাচার চক্রের চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। সুত্রে জানাযায় ১৩ই জুলাই (বুধবার) সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলি এলাকা থেকে চক্রের চারজনকে আটক করেছে! আটককৃতরা হলেন, সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলি এলাকার আবদুল সালামের ছেলে আবুল মাসুদ মুন্না (৩৮) তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার দিতি(২৬), চট্টগ্রামের রাউজান ডাবুয়া এলাকার মো.ইয়াহিয়ার স্ত্রী কামরুন নাহার সাথী(৩৭), সিএমপি লালখান বাজার মতি ঝর্ণা এলাকার মো. হারুনের মেয়ে নাসরিন আক্তার শিল্পী (২৪)। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, কিশোরীর পরিবার অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারনে মুন্নাদের বাসায় থাকত গত কয়েক মাস ধরে। গত ১৫ দিন আগে কিশোরীর মা তাকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে চাইলে মুন্না বিভিন্ন অযুহাত দেখায়। সে জানায় মেয়েটি তাদের স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়েছে ।এনিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও করা হয়। পরে মেয়ের স্বজনরা খুঁজাখুঁজি করে খবর পায় আবুল মাসুদ মুন্না কিশোরীটিকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে। পুলিশ সুত্রে জানাযায়, কিশোরীর পরিবারের সাথে অভিযুক্ত মুন্নার পরিবারের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।তার সুবাদে মাঝে মধ্যে কিশোরী ও তার মা মুন্নাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন ও রাত্রি যাপন করতেন।তেমনি চলতি বছরের গত ১৪ জুন কিশোরী সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলি এলাকার আবুল মাসুদ মুন্নার বাড়িতে বেড়াতে যান। ১৫ জুন মুন্না কিশোরীর মাকে জানান কিশোরী কাউকে কিছু না বলে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছে। তাকে খুজে না পেয়ে সে দিন আবুল মাসুদ মুন্না বাদি হয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। নিখোঁজের প্রায় ১ মাস পর গত ১২ জুলাই শান্ত নামে এক ব্যাক্তি ফোনে কিশোরীর মাকে জানায় তার মেয়েকে মুন্না ও তার স্ত্রী প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে এবং অন্যদের সহায়তায় পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে। বান্দরবান সদর থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক মিঠুন সিংহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।মানব পাচার চক্রের অন্যান্য চারজনকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত ও এই মামলার হাজতী আসামীগণ সোমবার( ১৮ জুলাই)বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী) আদালতের জামিন আবেদন শুনানীর হইলে বিজ্ঞ বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন আদালত আসামীদেরকে জামিন না – মঞ্জুর করেন রাষ্ট্র পক্ষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই মিঠুন সিংহ আদালতের আসামীদেরকে ৭দিনের রিমান্ড জন্য আবেদন করিলে আদালত, ১নং২নং আসামীদেরকে ৩দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর ও বাকি ৩ ও ৪নং আসামীদেরকে ২দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ পিপি এডভোকেট বাশিং থুয়াই মার্মা বিজ্ঞ পিপি বলেছেন আসামীদেরকে রিমান্ড নেওয়ার দরকার তাছাড়া নিখোঁজ মেয়েটিকে খোঁজে বের করতে হইলে!