• বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
শান্তিরক্ষার দায়িত্বে সরকার সচেতন থাকবে: আইনমন্ত্রী পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী হরতাল-অবরোধের প্রভাব পণ্য পরিবহনে, বাড়তি ব্যয়ের বোঝা ভোক্তাদের কাঁধে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত করা হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী বিশ্বকাপ ব্যর্থতা, অনুসন্ধানে বিসিবির কমিটি পোর্তোকে হারিয়ে নক আউট পর্বে বার্সেলোনা তাইজুল ঝলকে দ্বিতীয় দিন শেষেও এগিয়ে বাংলাদেশ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিচারকের সই জাল: দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৪ ডিসেম্বর ‘অনুমতি ছাড়া তথ্য ব্যবহারে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা’

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কাটেনি

Reporter Name / ৬৯ Time View
Update : শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। চরাঞ্চলসহ নদ-নদী অববাহিকার নিচু ঘর-বাড়ির চারিদিকে পানি জমে রয়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ খাবার পানি, শৌচাগার এবং গোখাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার অনেকের ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও কর্দমাক্ত থাকাসহ চরাঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। এতে যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষজনের। যত বন্যার পানি নামছে ততই দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিহৃ। সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ থাকলেও অনেক দুর্গম চরাঞ্চলে এখনও ত্রাণ পৌঁছেনি। কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের বাবুর চরে দেখা যায় কিছুকিছু বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও অনেক বাড়িই পানিতে তলিয়ে রয়েছে। অন্য বাড়িগুলোর চারিদিকে পানি জমে থাকায় তা দ্বীপের মতো দেখাচ্ছে। কোনো রকমে রান্না করে একবেলা খেতে পাড়লেও অন্য বেলায় চিড়া-মুড়ি বা পান্তা খেতে হচ্ছে বানভাসিদের। চারণভূমি ও ক্ষেতগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় গবাদিপশুর খাবারসহ তরিতরকারি জোটাতে পারছেন না বানভাসিরা। গবাদি পশুর তীব্র খাদ্য সঙ্কট চলছে। সাংবাদিকদের নৌকা দেখে হাটা-কোমর পানি ভেঙ্গে ছুটে এসে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ জানাচ্ছেন তাদের চরম দুর্ভোগের কথা। উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের বাবুর চরের বন্যা দুর্গত সম্বরী রানী (৫০) জানালেন, প্রায় ১৪ দিন ধরে বানের পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন। ঘরে যা খাবার ছিলো এতদিনে তা-ও শেষ। তিনি বলেন, পানি কমায় কয়জন মিলি ছোট নৌকা নিয়্যা জাগি থাকা খ্যাত থাকি পাট গাছ তুলি আইনলোং। তাকে একবেলা ভাতের সাথে নিজেও রান্দি খামো, ছাগলগুলাকও খাওয়ামো। বাবুর চরের বানভাসি শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও ইব্রাহিম আলী (৫০) বলেন, নিজেদের ঠিক মতো খাবার জোটে না ছাগল গুলাক কি খাওয়াই। তাই নৌকায় ছাগল তুলি পানিত ভাসি থাকা পাটক্ষেতে নিয়্যা যাই। তাকে খাওয়াই। গ্রামের অনেক ঘর থাকি পানি নামলেও বাড়ির চাইরোপাশে পানি জমে আছে। উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, অপ্রতুল ত্রাণ সহায়তার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। আর দুর্গম চরাঞ্চলের অবস্থা খুবই খারাপ। বন্যার পানিতে পাট ক্ষেত ডুবে ছিল। এখন পানি কমে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে বালু পড়ে অনেক পাটক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে যাওয়ায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিহৃ। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবদুর রশিদ জানান, বন্যায় জেলায় প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কৃষক। পুরো পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরুপন করা হবে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, চলতি বন্যায় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩৮ মেটিকটন চাল, ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category