নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গ জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, গাইবান্ধার উপনির্বাচনের অনিয়মে জড়িতদের শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হবে। অন্যদিকে, আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন গাইবান্ধা উপনির্বাচনের মতো দেখতে চান না বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার রাশেদা সুলতানা। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন ইসির কাছে জমা পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। তবে, এটা নিয়ে আমরা কোনো আলোচনা করিনি। দু’একদিনের মধ্যে এটা নিয়ে বসবো। শিগগির এ বিষয়ে আমরা জানাবো। আশাকরছি, সামনের সপ্তাহে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো। দু’টো রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। ঘটনার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কী ব্যবস্থা হবে, কীভাবে নেওয়া হবে এ বিষয়ে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। আলোচনা না করে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তবে শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হবে। গাইবান্ধায় যে ঘটনা ঘটেছে সেটাকে বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, যেটা ঘটে গেছে। কিন্তু তারপর জেলা পরিষদ, পাবর্তীপুর পৌরসভা ও ফরিদপুর উপনির্বাচন ভালো হয়েছে। কোথাও কোনো নেগেটিভ কথাবার্তা নেই। মাঠ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করবে না- এই ধরনের কোনো বিষয় মনে হচ্ছে না। নির্বাচন ধারাবাহিকভাবে চলছে। মাঠপ্রশাসন ভালোই রেসপন্স করছে। তিনি বলেন, আমরা রংপুরে গাইবান্ধার মতো নির্বাচন চাই না। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কখনই নির্বাচন কমিশন এ ধরনের নির্বাচন চায় না। আর এজন্য প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাটা অসম্ভব ব্যাপার। আমি নির্বাচনের আগে গিয়ে এ বিষয়ে নির্দেশনা ও পরামর্শ দেবো। রংপুর সিটির নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানান এ কমিশনার।