হাজী মুছা,গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন ৩৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব কল্মেশ^র এলাকায় বাইতুল মামুর জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা ওয়াক্ফ এসট্রেট নামক প্রতিষ্ঠানটির মোয়াজ্জিন কতৃক ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. ইমরান হোসেন (২৩) কে গ্রেফতার করেছেন গাছা থানা পুলিশ,এ বিষয়ে এলাকায় উক্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার ৪তলা ভবনের নিচ তলায় প্রতিদিন মক্তব পরানো হয় ও ২য় তলায় হেফজ পরানো হয় এবং ৩য় তলায় হেফজ পড়–য়া ছাত্র, মসজিদের ইমাম ও শিক্ষক গণ, মোয়াজ্জিন থাকেন,আর মসজিদের ৪তুর্থ তলায় রান্নাবান্না হয়।
প্রতিদিনের নেয় বৃহস্পতিবারো মাদ্রাসার কার্যক্রম চলতে থাকে, দুপুর ২টা থেকে নিচ তলায় মক্তব শুরু হয়, এ সময় (ছন্দ নাম আখি) আইসক্রিম খেতে খেতে মক্তব পরতে আসেন, এমতাবস্থায় মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. ইমরান হোসেন আখির আইসক্রিম খাওয়া দেখে তাকে বলেন রোজার দিন এভাবে প্রকাশ্যে আইসক্রিম না খেয়ে তুমি ৪র্থ তলায় গিয়ে খেয়ে আসো, তখন আখি আইসক্রিম খেতে ৪র্থ তলায় গেলে মোয়াজ্জিনও সেখানে উপস্থিত হন, এ সময় ইমরান আখিকে কৌশলে রান্না ঘরে নিয়ে যায়, এবং আখির বুকে ও মাথায় হাত দেয়, এ সময় আখি চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাকে ভয় দেখিয়ে ঝোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে এবং কাউকে না বলার কথা বলে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে দেন, পরে আখি নিচে এসে তার ক্লাশ শেষ করে বাসায় চলে যায় এবং কান্না কাটি করতে থাকে। পরে সন্ধ্যায় তার বাবা মা বাসায় আসলে ঘটনাটি বাবা মায়ের কাছে খুলে বলেন।
পরে আখির বাবা মসজিদে এসে ইমরানকে না পেয়ে ৯৯৯ নাইনে ফোন করে বিষয়টি জানালে গাছা থানার পুলিশ তাতক্ষনাত ঘটনা স্থলে হাজির হয়,এবং তদন্ত শেষে মসজিদের মোয়াজ্জিন কে গ্রেফতার করেন।
ততক্ষনাত এ বিষয়ে মসজিদের মোতোয়াল্লি ও সভাপতি দীর্ঘদিন যাবৎ দুটি পদ একাই দখলে রাখা আব্দুল্লাহ আল সাগর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে মরিয়া হয়ে উঠেন, তক্ষন এলাকাবাসী ধর্ষকের বিচারের দাবিতে এলাকায় মিছিল করতে থাকেন , এসময় পরিস্থিতি ব্যগতিক দেখে সাগর গা ডাকাদেন।
পরে ছন্দ নাম আখির বাবা বাদি হয়ে গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ০৫/২২ তারিখ ০৭-০৪-২০২২ ইং। অসামী মো. ইমরান হোসেন (২৩) পিতা- রুস্তম আলি কাজি,সাং- বাদলপাড়া,থানা-বাকেরগঞ্জ, জেলা- বরিশাল,বর্তমানে- গাছা থানাধীন ৩৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব কল্মেশ^র এলাকায় বাইতুল মামুর জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা ওয়াক্ফ এসট্রেট নামক প্রতিষ্ঠানটির মোয়াজ্জিন।
এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমরা ৯৯৯ নাইনে একটি শিশু ধর্ষনের অভিযো পেয়ে বাইতুল মামুর জামে মসজিদে গিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামি মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. ইমরান হোসেন কে গ্রেফতার করতে স্বক্ষম হই, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে পরবর্তী আইনি কার্যকলাপ শেষে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে আখির পরিবার ও এলাকার শুশিল সমাজ জানান, পবিত্র এই মাহে রমজান মাসে একটি মসজিদে মোয়াজ্জিন কতৃক শিশুটির সাথে যে নেক্কার জনক ঘটনাটি ঘটেছে আমরা তার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই।