মো. মাইন উদ্দীন :
শুল্কায়ন না করেঢাকায় সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটসকে ৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমানের সই করা নথিতে এই আদেশ জারি করা হয়।
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি চট্টগ্রাম থেকে গেল ঢাকায়, গোয়েন্দা জালে ধরা ওই আদেশে বলা হয়, কাস্টমস আইন ১৯৬৯ এর ৯, ১০, ১৬, ১৮, ৮০ ও ১১১ ধারা লঙ্ঘন ও সেকশন ২( এস) অনুযায়ী ‘চোরাচালান’ এবং সেকশন ৩২ (১) এ বর্ণিত অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটসকে ৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পণ্যচালানটি যথাযথ এইচএস কোডে শ্রেণীবিন্যাস ও যথাযথমূল্য শুল্কায়নপূর্বক পণ্যচালানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক- করাদি, আরোপিত অর্থদ- আদায়পূর্বক আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আদেশে, শুল্ক-করাদি, আরোপিত অর্থদ- ও বিমোচন জরিমানা ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারকে ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল বিলাসবহুল গাড়িটি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করে জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ৪ জুলাই রাজধানীর বারিধারায় প্রতিষ্ঠানটির এমডির নিজ বাসভবনের গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা।
আমদানির পর থেকে গত ৪ জুলাই পর্যন্ত গাড়িটির কোন শুল্ক পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এই সময়ের মধ্যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছে।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন খান বলেছেন, ঢাকা থেকে আটক করা বিলাসবহুল গাড়িটির বনেটে থাকা স্টিকারে দেখা গেছে এটি ৬৭৫০ সিসির গাড়ি। আমাদের কাস্টমস আইন মোতাবেক ২০০০ সিসি পর্যন্ত আমদানি গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে। কিন্তু আমরা যে গাড়িটি আটক করেছি সেটি ২০০০ সিসির বেশি হওয়ায় শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্য হবে না। আমাদের হিসাব মতে, আমদানিকারক প্রায় ২৪ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছে।ঝ