০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা বিপুলসংখ্যক কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা বিপুলসংখ্যক কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওসব পণ্য নিলামের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে পণ্য ধ্বংসের সব সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। সেজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রায় ৫ একর জায়গায় পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রেন, স্কেভেটর, ট্রেলার, ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য মাটি চাপা দেয়া হবে। ফলে কোনো প্রকার দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগ থাকবে না। আর জায়গাটি লোকালয় থেকে দূরে হওয়ায় মানুষেরও সমস্যা হবে না। বিপুল পরিমাণ পণ্য ধ্বংস করতে ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনও মিলেছে।
সূত্র জানায়, ধ্বংস করার জন্য ৩৪৫টি কন্টেইনারের পণ্য খালি করতে ১৫-২০ দিন সময় লাগতে পারে। কাজটি শেষ হলে বন্দরে কমপক্ষে সাড়ে ৩শ কনটেইনার রাখার জায়গা খালি হবে। তার আগে একই এলাকার অন্য একটি জায়গায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৯৪ কনটেইনারের ৪ হাজার ৮০৭ টন ব্যবহার অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করেছিল।
এদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন জানান, বন্দরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের কার্যক্রম আরো কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু করা হয়। এ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পচা পণ্য ধ্বংসের কাজ করতে সমন্বিত চেষ্টা লাগে। যেখানে কাস্টমসসহ অনেকগুলো সরকারি দপ্তরের সহযোগিতা লাগে। নিয়ম অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে এ কাজ করতে হয়। পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। তাই প্রতিবার পণ্য ধ্বংসের আগে জায়গা নির্বাচন করতে হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তিন পার্বত্য জেলাকে কফি অঞ্চল বানাতে চাই: পার্বত্য উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা বিপুলসংখ্যক কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ

আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা বিপুলসংখ্যক কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওসব পণ্য নিলামের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে পণ্য ধ্বংসের সব সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। সেজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রায় ৫ একর জায়গায় পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রেন, স্কেভেটর, ট্রেলার, ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য মাটি চাপা দেয়া হবে। ফলে কোনো প্রকার দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগ থাকবে না। আর জায়গাটি লোকালয় থেকে দূরে হওয়ায় মানুষেরও সমস্যা হবে না। বিপুল পরিমাণ পণ্য ধ্বংস করতে ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনও মিলেছে।
সূত্র জানায়, ধ্বংস করার জন্য ৩৪৫টি কন্টেইনারের পণ্য খালি করতে ১৫-২০ দিন সময় লাগতে পারে। কাজটি শেষ হলে বন্দরে কমপক্ষে সাড়ে ৩শ কনটেইনার রাখার জায়গা খালি হবে। তার আগে একই এলাকার অন্য একটি জায়গায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৯৪ কনটেইনারের ৪ হাজার ৮০৭ টন ব্যবহার অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করেছিল।
এদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন জানান, বন্দরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের কার্যক্রম আরো কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু করা হয়। এ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পচা পণ্য ধ্বংসের কাজ করতে সমন্বিত চেষ্টা লাগে। যেখানে কাস্টমসসহ অনেকগুলো সরকারি দপ্তরের সহযোগিতা লাগে। নিয়ম অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে এ কাজ করতে হয়। পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। তাই প্রতিবার পণ্য ধ্বংসের আগে জায়গা নির্বাচন করতে হয়।