• সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার

চলতি মাস থেকেই যুক্ত হবে গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের বাড়তি চার্জ

Reporter Name / ১৩১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি জুলাই মাস থেকেই যুক্ত হবে গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের বাড়তি চার্জ। গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ভাড়া (চার্জ) ৪০ টাকা বাড়িয়েছে। গত মাসে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর এবার মিটার ভাড়া বাড়ানো হলো। আগে তিতাসের মিটার ভাড়া ছিল ৬০ টাকা। প্রতি মাসে গ্যাসের বিলের সঙ্গে ৬০ টাকা কেটে নেয়া হতো। কিন্তু কোনো নোটিশ বা ঘোষণা ছাড়াই চলতি মাস থেকে মিটার ভাড়া ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত ২০১৭ সালে বাসাবাড়িতে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন শুরু হয়। যদিও বিগত ২০১১ সালেই তা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছিল। সরকারের গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর শুরুতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে বেশ আগ্রহ ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে মিটার স্থাপনে দীর্ঘসূত্রতা শুরু হয়। আর এখন গ্রাহকরা আবেদন করেও মিটার পায় না। যদিও প্রিপেইড মিটারে গ্যাসের অপচয় রোধ, খরচ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে গ্রাহক। তিতাস গ্যাস মূলত জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জাইকা) সহায়তায় প্রিপেইড মিটার বসানো শুরু করেছিল। তিতাসের মোট ২৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪৮ জন গ্রাহকের মধ্যে ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৪৭ জন আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত সংস্থাটি ৩ লাখ ২৮ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের সুবিধা দিতে পেরেছে।
সূত্র জানায়, গ্যাসের প্রিপেইড প্রতিটি মিটার ক্রয়, প্রতিস্থাপন ও প্রশাসনিক খরচ বাবদ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর তার মেয়াদ ১০ বছর। মিটার স্থাপনের জন্য জাইকার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তিতাস গ্যাস। তবে মিটার বসানো বাবদ গ্রাহককে এককালীন কোনো অর্থ দিতে হচ্ছে না। বরং প্রতি মাসে গ্যাস বিলের সঙ্গে ৬০ টাকা করে দিতে হতো। পরিকল্পনা ছিল এভাবে মিটারের মূল্য গ্রাহকের কাছ থেকে তুলে নেয়া হবে। আর এভাবে ৬০ টাকা করে বিল নিলে মিটারের দাম উঠতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর সময় লাগবে। কিন্তু তিতাস এখন দ্রুত ওই টাকা উঠিয়ে নিতে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে কেটে নেয়া শুরু করেছে।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত জুন থেকে পাইপলাইনে সরবরাহ করা প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের পাইকারি দাম ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২২.৭৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১১ টাকা ৯১ পয়সা করেছে। যা জুন থেকেই কার্যকর হয়েছে। আর আর প্রিপেইড মিটারে প্রতি ইউনিটের খরচ ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪৩ শতাংশ বাড়িয়ে ১৮ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে বার বার চেষ্টা করেও তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশীদ মোল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category