০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ | ই-পেপার

চসিকের প্রোগ্রামার পদে অনৈতিক পদায়নের অভিযোগ

আবদুল মতিন চৌধুরী রিপন, বিশেষ প্রতিনিধি :

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রোগ্রামার পদে মোহাম্মদ ইকবাল হাসানকে পদায়নের অভিযোগ ওঠেছে। চসিকের অর্গানোগ্রামে নেই তবুও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তিনি পেয়েছেন আইটি বিশেষজ্ঞ পদ। নানা অনিয়ম ও অনৈতিক লেনদেনের ফলে নিয়ম ভেঙে যোগ্যতা না থাকার পরেও তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রোগ্রামার পদে পদায়ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, মোহাম্মদ ইকবাল হাসান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কম্পিউটার ইনস্টিটিউটে অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট এক অফিস আদেশে তাকে সচিবালয় বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল অটোমেশনের দায়িত্ব পালন করবেন। অথচ চসিকের অর্গানোগ্রামে আইটি বিশেষজ্ঞ বলতে কোন পদ নেই। যা ক্ষমতার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে এই পদবী দেয়া হয়েছে। এর এক সপ্তাহ পর অর্থাৎ ২০ আগস্ট আরেক অফিস আদেশে বলা হয়েছে মোহাম্মদ ইকবাল হাসান, আইটি অফিসার (অস্থায়ী) সচিবালয় বিভাগকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রোগ্রামার পদে পূর্বের পদায়ন বিষয় অনুসরণপূর্বক অস্থায়ীভাবে প্রোগ্রমার পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।” অথচ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের গেজেটে চাকরির প্রবিধান অনুযায়ী পদোন্নতির মাধ্যমে প্রোগ্রামার নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে সহকারী প্রোগ্রামার, সহকারী রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী বা সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর পদে কমপক্ষে ০৬ (ছয়) বছর চাকরির অভিজ্ঞতার বাধ্যবাদকতা রয়েছে।
আর সরাসরি নিয়েগের ক্ষেত্রে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে:
(ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ সহ ৪ (চার) বৎসর মেয়াদি স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
(খ) কোনো সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত/সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর/সহকারী প্রোগ্রামার/সহকারী রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী হিসাবে অন্যূন ০৪ (চার) বৎসরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এবং (গ) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণহতে হবে।
প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে: কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞ সমগ্রেডভুক্ত সরকারি কর্মকর্তা হতে হবে।
সুত্র জানায় এসব একাডেমিক যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কোনটাই নেই ইকবাল হাসানের। তবুও অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে তাকে এই পদে পদায়ন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশ্রাফুল আমীন নিয়মতান্ত্রিক পদায়ন না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চসিকে এমন অনেক লোকই আছে যারা অর্গানোগ্রামের বাইরে চাকরি করছেন। এখানে ২৭/২৮ শ পদের বিপরীতে ৯ হাজারের অধিক লোক কর্মরত আছেন। একজন অনভিজ্ঞ লোককে কিভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করলেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আগের একটা ফরমেট ছিল, এটা চিফ স্যার (সিইও) জানেন। আমি সেই পুরানো ফরমেটে সাইন করেছি। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক হানিফ নামের একজনকে ফোন করে জানান, ২০১০ সালে জিএম করে ইকবাল হাসানকে আইটি আফিসার নিযোগের বিষয় অনুমোদন নেয়া হয়। ২০১৯ সালে প্রোগ্রামার পদ সৃষ্টি হওয়ার পরে তখন তাকে প্রোগ্রামার পদে পদায়ন করা হয়েছিল। তবে অভিজ্ঞতার বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও সচিবের সুরেই কথা বলেন। তিনি জানান চসিকে এমন অনেকেই আছেন যারা একপদে যোগদান করে অন্যপদে দায়িত্ব পালন করছেন। আর ইকবাল হাসানকে খুব ভালো ছেলে হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তবে যোগ্যতা না থাকলে শুধু ”ভালো” হলেই পদায়ন করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।

করোনাকালীন চট্টগ্রামে আইসোলেশন সেন্টারের জন্য কেনাকাটায় চসিকের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলুন কুমার দাস, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ও প্রকিউরমেন্ট অফিসার সালমা খাতুন, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আবু সাদাত মো. তৈয়ব, প্রোগ্রামার ও আইটি অফিসার মো. ইকবাল হাসান জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। সুদীপ বসাক বদলী এবং আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আন্দোলনে সিটি কর্পোরেশনের সড়ক বাতি নেবানোর অভিযুক্ত ঝুলুন কুমার দাশ চাকরিচ্যুত হয়েছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের আইটি অফিসার (অর্গানোগ্রামে নেই) ও প্রোগ্রামার (অ.দা.) মোহাম্মদ ইকবাল হাসান বলেন, ”আমি সিটি কলেজ থেকে ইন্টার কমপ্লিট করে লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বিএসসি করেছেন বলেন জানান। তবে যদিও বিএসসি ৪ বছরের কোর্স সেখানে তিনি ১ বছর ছিলেন বলে জানান। বাকিটা তিনি অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়েছেন। তবে সহকারি প্রোগ্রামার কখনো ছিলেন না। আর কেনাকাটায় অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ”করোনাকালীন কিছু কেনাকাটা নিয়ম মেনেই করেছেন।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

চসিকের প্রোগ্রামার পদে অনৈতিক পদায়নের অভিযোগ

আপডেট সময়ঃ ১২:৫৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

আবদুল মতিন চৌধুরী রিপন, বিশেষ প্রতিনিধি :

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রোগ্রামার পদে মোহাম্মদ ইকবাল হাসানকে পদায়নের অভিযোগ ওঠেছে। চসিকের অর্গানোগ্রামে নেই তবুও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তিনি পেয়েছেন আইটি বিশেষজ্ঞ পদ। নানা অনিয়ম ও অনৈতিক লেনদেনের ফলে নিয়ম ভেঙে যোগ্যতা না থাকার পরেও তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রোগ্রামার পদে পদায়ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, মোহাম্মদ ইকবাল হাসান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কম্পিউটার ইনস্টিটিউটে অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট এক অফিস আদেশে তাকে সচিবালয় বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল অটোমেশনের দায়িত্ব পালন করবেন। অথচ চসিকের অর্গানোগ্রামে আইটি বিশেষজ্ঞ বলতে কোন পদ নেই। যা ক্ষমতার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে এই পদবী দেয়া হয়েছে। এর এক সপ্তাহ পর অর্থাৎ ২০ আগস্ট আরেক অফিস আদেশে বলা হয়েছে মোহাম্মদ ইকবাল হাসান, আইটি অফিসার (অস্থায়ী) সচিবালয় বিভাগকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রোগ্রামার পদে পূর্বের পদায়ন বিষয় অনুসরণপূর্বক অস্থায়ীভাবে প্রোগ্রমার পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।” অথচ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের গেজেটে চাকরির প্রবিধান অনুযায়ী পদোন্নতির মাধ্যমে প্রোগ্রামার নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে সহকারী প্রোগ্রামার, সহকারী রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী বা সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর পদে কমপক্ষে ০৬ (ছয়) বছর চাকরির অভিজ্ঞতার বাধ্যবাদকতা রয়েছে।
আর সরাসরি নিয়েগের ক্ষেত্রে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে:
(ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ সহ ৪ (চার) বৎসর মেয়াদি স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
(খ) কোনো সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত/সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর/সহকারী প্রোগ্রামার/সহকারী রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী হিসাবে অন্যূন ০৪ (চার) বৎসরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এবং (গ) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণহতে হবে।
প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে: কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞ সমগ্রেডভুক্ত সরকারি কর্মকর্তা হতে হবে।
সুত্র জানায় এসব একাডেমিক যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কোনটাই নেই ইকবাল হাসানের। তবুও অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে তাকে এই পদে পদায়ন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশ্রাফুল আমীন নিয়মতান্ত্রিক পদায়ন না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চসিকে এমন অনেক লোকই আছে যারা অর্গানোগ্রামের বাইরে চাকরি করছেন। এখানে ২৭/২৮ শ পদের বিপরীতে ৯ হাজারের অধিক লোক কর্মরত আছেন। একজন অনভিজ্ঞ লোককে কিভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করলেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আগের একটা ফরমেট ছিল, এটা চিফ স্যার (সিইও) জানেন। আমি সেই পুরানো ফরমেটে সাইন করেছি। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক হানিফ নামের একজনকে ফোন করে জানান, ২০১০ সালে জিএম করে ইকবাল হাসানকে আইটি আফিসার নিযোগের বিষয় অনুমোদন নেয়া হয়। ২০১৯ সালে প্রোগ্রামার পদ সৃষ্টি হওয়ার পরে তখন তাকে প্রোগ্রামার পদে পদায়ন করা হয়েছিল। তবে অভিজ্ঞতার বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও সচিবের সুরেই কথা বলেন। তিনি জানান চসিকে এমন অনেকেই আছেন যারা একপদে যোগদান করে অন্যপদে দায়িত্ব পালন করছেন। আর ইকবাল হাসানকে খুব ভালো ছেলে হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তবে যোগ্যতা না থাকলে শুধু ”ভালো” হলেই পদায়ন করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।

করোনাকালীন চট্টগ্রামে আইসোলেশন সেন্টারের জন্য কেনাকাটায় চসিকের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলুন কুমার দাস, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ও প্রকিউরমেন্ট অফিসার সালমা খাতুন, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আবু সাদাত মো. তৈয়ব, প্রোগ্রামার ও আইটি অফিসার মো. ইকবাল হাসান জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। সুদীপ বসাক বদলী এবং আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আন্দোলনে সিটি কর্পোরেশনের সড়ক বাতি নেবানোর অভিযুক্ত ঝুলুন কুমার দাশ চাকরিচ্যুত হয়েছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের আইটি অফিসার (অর্গানোগ্রামে নেই) ও প্রোগ্রামার (অ.দা.) মোহাম্মদ ইকবাল হাসান বলেন, ”আমি সিটি কলেজ থেকে ইন্টার কমপ্লিট করে লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বিএসসি করেছেন বলেন জানান। তবে যদিও বিএসসি ৪ বছরের কোর্স সেখানে তিনি ১ বছর ছিলেন বলে জানান। বাকিটা তিনি অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়েছেন। তবে সহকারি প্রোগ্রামার কখনো ছিলেন না। আর কেনাকাটায় অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ”করোনাকালীন কিছু কেনাকাটা নিয়ম মেনেই করেছেন।”